পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাল্লায় ভারত ও ইসরায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক: পাকিস্তান তার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমান তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের সর্বোচ্চ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র Shaheen-III প্রায় ২,৭৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম, যা সমগ্র ভারত এবং ইসরায়েল পর্যন্ত আঘাত হানার সামর্থ্য রাখে।

নিচে পাকিস্তানের উল্লেখযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বিবরণ দেওয়া হলো-ক্ষেপণাস্ত্র রেঞ্জ (কিমি) জ্বালানী ওয়ারহেড বিশেষত্ব

Shaheen-III ২,৭৫০ কঠিন পারমাণবিক/প্রচলিত সর্বোচ্চ রেঞ্জ, ভারত ও ইসরায়েল লক্ষ্যবস্তু।
Shaheen-II ২,০০০–২,৫০০ কঠিন পারমাণবিক/প্রচলিত ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল লক্ষ্যবস্তু।
Ghauri-II ২,০০০–২,৩০০ তরল পারমাণবিক/প্রচলিত ভারতের অভ্যন্তরে গভীর আঘাত।
Ababeel ২,২০০ কঠিন পারমাণবিক (MIRV প্রযুক্তি) একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে আঘাত।
Ghauri-I ১,৫০০ তরল পারমাণবিক/প্রচলিত উত্তর-পশ্চিম ভারতের জন্য ডিজাইনকৃত।
Shaheen-I ৭৫০–৯০০ কঠিন পারমাণবিক/প্রচলিত স্বল্পপাল্লার দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল আক্রমণ।

শীর্ষস্থানীয় ক্ষেপণাস্ত্রের বিবরণ

Shaheen-III:
পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা ভারতীয় মূল ভূখণ্ডের সব অঞ্চল এবং ইসরায়েলের নির্দিষ্ট অংশকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম। এটি কৌশলগত দিক থেকে পাকিস্তানকে বড় ধরনের সুবিধা প্রদান করে।

Ababeel:
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম MIRV প্রযুক্তিসম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে একযোগে আঘাত হানার সক্ষমতা রাখে, যা আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।

Shaheen-II এবং Ghauri-II:
মাঝারি পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামোগুলোকে টার্গেট করতে সক্ষম।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশেষ করে Shaheen-III এবং Ababeel–এর উপস্থিতি ভারতে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বর্তমানে পাকিস্তান কঠিন জ্বালানিভিত্তিক প্রযুক্তির দিকে অগ্রসর হওয়ায় তাদের ক্ষেপণাস্ত্রসমূহ দ্রুত মোতায়েন এবং পরিচালনার ক্ষেত্রে আরো দক্ষ হয়ে উঠছে।

পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির এই শক্তিশালী উন্নয়ন কেবল ভারত নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তা কাঠামোতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।