ফিলিস্তিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হলেন হুসেইন আল-শেখ
টুইট ডেস্ক : ফিলিস্তিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হয়েছেন হুসেইন আল-শেখ। ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থার (পিএলও) নির্বাহী কমিটি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রস্তাবে হুসেইন আল-শেখকে তার উপদেষ্টা (ডেপুটি) হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে।
রোববার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, হুসেইন আল-শেখকে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের উপদেষ্টা (ডেপুটি) হিসেবে এই মনোনয়ন গত বৃহস্পতিবার রামাল্লায় অনুষ্ঠিত প্যালেস্টাইন সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (পিসিসি) ৩২তম অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করা হয়েছে।
আবাস আরও ঘোষণা করেন, সব ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি ব্যাপক জাতীয় সংলাপ শুরু করা হবে, যাতে পিএলও নির্বাহী কমিটি এবং ফাতাহ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা নেতৃত্ব দেবেন। লক্ষ্য হবে জাতীয় ঐক্য সুসংহত করা এবং দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা অর্জন করা।
মনোনয়ন পাওয়ার পর হুসেইন আল-শেখ প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পিএলও নির্বাহী কমিটি আগামী শনিবার আবার বৈঠকে বসবে, যেখানে নতুন মহাসচিব (সেক্রেটারি জেনারেল) নির্বাচন করা হবে।
এছাড়া, বৈঠকে আব্বাস ইসরায়েলি কর্মকাণ্ড রোধে আসন্ন রাজনৈতিক পরিকল্পনাগুলোর কথাও জানিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্ব বন্ধ করা, মানবিক ও চিকিৎসা সহায়তার প্রবেশ ত্বরান্বিত করা এবং গাজায় পূর্ণ ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা এখন জরুরি। এগুলো স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
পিসিসি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দিতে চেয়ারম্যান মনোনয়ন করবেন এবং কমিটির সদস্যরা তা অনুমোদন করবেন। চেয়ারম্যানের হাতে ডেপুটিকে দায়িত্ব দেওয়া বা অপসারণ করারও ক্ষমতা থাকবে।
এই সিদ্ধান্তের পক্ষে মোট ১৭০ জন সদস্য ভোট দেন, একজন বিরোধিতা করেন এবং একজন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
উল্লেখ্য, প্যালেস্টাইন সেন্ট্রাল কাউন্সিল পিএলও’র সর্বোচ্চ আইনসভা, যার সদস্য সংখ্যা ১৮৮। তবে সাম্প্রতিক এই অধিবেশন বয়কট করে পিএলও’র কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দল — যেমন পপুলার ফ্রন্ট, ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট ও প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ।
তারা অভিযোগ করেছে, বৈঠকটি কোনও প্রকার জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে হয়নি এবং আগাম আলোচনাও করা হয়নি। হামাসও এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। গাজার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠীটি বলেছে, এই সভার ফলাফল জাতীয় ঐক্যের দাবিকে অগ্রাহ্য করেছে।
হামাস আরও বলেছে, একটি গণতান্ত্রিক এবং সর্বব্যাপী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পিএলও-কে নতুন করে গঠন করতে হবে।