চীন-পাকিস্তান-হুথি সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ: ভারতের জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ

বিশ্ব ডেস্ক: বর্তমানে চীন, পাকিস্তান এবং ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীর মধ্যে সরাসরি কোনো সামরিক জোট বা ত্রিপক্ষীয় সামরিক চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যায়নি। তবে, সাম্প্রতিক কিছু কূটনৈতিক ও সামরিক কার্যক্রম এই দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়।

পাকিস্তান-চীন সামরিক সহযোগিতা

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দু চীন সফর করেন। সেখানে তিনি চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুন এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল চ্যাং ডিংকিউ-এর সঙ্গে বৈঠক করেন।

এই বৈঠকে উভয় দেশ তাদের বিদ্যমান সামরিক সহযোগিতা জোরদার করার অঙ্গীকার করে এবং যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়া, তারা জটিল এবং আক্রমণাত্মক কৌশলগত পর্যায়ের যৌথ মহড়া পরিচালনার পরিকল্পনাও করে ।

চীনের হুথি গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক

চীন আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলকে স্বীকৃতি দিলেও, হুথি গোষ্ঠীর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ২০১৬ সালে চীন হুথি প্রতিনিধিদের আতিথ্য দেয় এবং ২০২৩ সালে চীনের অ্যান্টন অয়েলফিল্ড গ্রুপের সঙ্গে হুথিদের একটি অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যদিও পরে তা বাতিল হয় । চীন হুথিদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।

ভারতের প্রতিক্রিয়া

কাশ্মীরের পাহালগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয় ।

এই প্রেক্ষাপটে, পাকিস্তান ও চীনের ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক এবং হুথি গোষ্ঠীর সঙ্গে চীনের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক ভারতের জন্য কৌশলগত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।

যদিও চীন, পাকিস্তান এবং হুথি গোষ্ঠীর মধ্যে আনুষ্ঠানিক ত্রিপক্ষীয় সামরিক জোটের ঘোষণা নেই, তবে তাদের মধ্যে বিদ্যমান সামরিক ও কূটনৈতিক সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।

এই পরিস্থিতিতে ভারতকে তার কৌশলগত পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে।