আমেরিকায় বিচারককে গ্রেপ্তার, অভিবাসন আইনের লঙ্ঘন

বিশ্ব ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকি কাউন্টির সার্কিট কোর্টের বিচারক হান্না ডুগানকে গ্রেপ্তার করেছে এফবিআই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অবৈধ অভিবাসী এডুয়ার্ডো ফ্লোরেস-রুইজকে গ্রেপ্তার এড়াতে সহায়তা করেছেন।

এ ঘটনায় দেশব্যাপী রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে।

কী ঘটেছিল?

১৮ এপ্রিল ফ্লোরেস-রুইজকে গ্রেপ্তারের জন্য আইস (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) একটি প্রশাসনিক ওয়ারেন্ট নিয়ে ডুগানের আদালতে উপস্থিত হয়। ডুগান তাদের জানান যে, তাদের কাছে বিচারিক ওয়ারেন্ট নেই, এবং আইস কর্মকর্তাদের আদালতের প্রধান বিচারকের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এরপর, তিনি ফ্লোরেস-রুইজ ও তার আইনজীবীকে আদালতের একটি ব্যক্তিগত দরজা দিয়ে বের করে দেন, যার মাধ্যমে তারা ভবনের বাইরে চলে যান।

আইস কর্মকর্তারা তাদের অনুসরণ করলেও, ফ্লোরেস-রুইজ পালিয়ে যান।

পরবর্তীতে, ফ্লোরেস-রুইজকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি বর্তমানে উইসকনসিনের ডজ ডিটেনশন ফ্যাসিলিটিতে আটক আছেন।

বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ডুগানের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে।

অবিচারিক কার্যক্রমে বাধা প্রদান: আইস কর্মকর্তাদের তাদের কার্যক্রমে বাধা দেওয়া।

গ্রেপ্তার এড়াতে সহায়তা: ফ্লোরেস-রুইজকে গ্রেপ্তার এড়াতে সহায়তা করা।

ডুগান আদালতে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং তার আইনজীবী জানান, তিনি এই গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

ডুগানের গ্রেপ্তার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে:

ডেমোক্র্যাট নেতারা: উইসকনসিনের গভর্নর টনি এভার্স, সিনেটর ট্যামি বাল্ডউইন এবং কংগ্রেসওম্যান গুইন মুরসহ অনেক ডেমোক্র্যাট নেতা এই গ্রেপ্তারের নিন্দা করেছেন। তারা এটিকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন: অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাম বন্ডি বলেছেন, “কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়” এবং বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন।

ডুগানের পরবর্তী শুনানি ১৫ মে নির্ধারিত হয়েছে। এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।