চীন-পাকিস্তান: হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক অটুট শক্তি
- চীনের দৃঢ় বন্ধন মুসলিম বিশ্বের সাথে: বৈশ্বিক দক্ষিণের নতুন জোটের অগ্রযাত্রা
বিশ্ব ডেস্ক: বিশ্ব রাজনীতির নতুন সমীকরণে চীনের দৃঢ় অবস্থান দিনে দিনে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের সাথে চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন বৈশ্বিক দক্ষিণের ঐক্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সব ক্ষেত্রেই মুসলিম দেশগুলোর পাশে শক্তভাবে দাঁড়িয়েছে বেইজিং।
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের সাথে চীনের সম্পর্ক সবচেয়ে গভীর। দুদেশের বন্ধুত্বকে ‘আয়রন ব্রাদার’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
চীন-পাকিস্তান ইকনোমিক করিডর (CPEC) এই বন্ধনকে আরও মজবুত করেছে, যেখানে বিশাল অর্থনৈতিক ও সামরিক বিনিয়োগ করছে চীন।
ইরানের সাথেও চীন ২৫ বছরের দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা চুক্তি করেছে, যার আওতায় তেল, পরিকাঠামো ও নিরাপত্তা খাতে বিস্তৃত অংশীদারিত্ব গড়ে উঠছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে চীন-ইরান এখন ঘনিষ্ঠ কৌশলগত মিত্র।
মধ্যপ্রাচ্যের নেতৃত্বাধীন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথেও চীনের সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে তেলের বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে দুই পক্ষের সহযোগিতা বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কাতার, মিশর এবং তুরস্কের সাথেও বেইজিং তার বন্ধুত্ব সম্প্রসারণ করছে।
এশিয়ার বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার সাথেও চীনের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী হচ্ছে।
বাংলাদেশও চীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, যেখানে শান্তিরক্ষা মিশনে যৌথ অংশগ্রহণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প চলছে।
আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোতেও চীনের প্রভাব বাড়ছে। নাইজেরিয়া ও সুদানের সাথে বিশাল বিনিয়োগ এবং সামরিক সহযোগিতা এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মুসলিম বিশ্বকে পাশে নিয়ে চীন বৈশ্বিক দক্ষিণের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। চীনের এই কৌশল পশ্চিমা আধিপত্যবাদ, বিশেষ করে জায়নিজম ও হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে এক শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
বিশ্ব রাজনীতির আগামী দিনে মুসলিম বিশ্ব ও চীনের এই বন্ধুত্ব বৈশ্বিক ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।