ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
টুইট ডেস্ক: চিফ অ্যাডভাইজার এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার ইতালির ভ্যাটিকান সিটিতে অবস্থিত সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় প্রবেশ করে প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
পোপ ফ্রান্সিসের মরদেহ শনিবারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের পূর্বে জনগণের দেখার জন্য রাখা হয়েছিল।
পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন অধ্যাপক ইউনূসের কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গির একজন গভীর শ্রদ্ধাশীল। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে অধ্যাপক ইউনূসের আজীবন সংগ্রাম এবং তাঁর ‘থ্রি জিরো ওয়ার্ল্ড’—যেখানে বেকারত্ব, দারিদ্র্য এবং কার্বন নিঃসরণ থাকবে না—এই দৃষ্টিভঙ্গি পোপ ফ্রান্সিস অত্যন্ত আন্তরিকভাবে সমর্থন করতেন।
পোপ ফ্রান্সিসের আমলে ভ্যাটিকান ও ইউনূস সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে “থ্রি জিরো ইনিশিয়েটিভ” চালু করা হয়েছিল রোমে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে একটি সচেতন ও টেকসই আন্দোলন শুরু হয়।
অধ্যাপক ইউনূস তাঁর শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বলেন, “পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন মানবতার আশার প্রতীক। তিনি দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং পরিবেশগত বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছিলেন, তা আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিল। তাঁর প্রয়াণে আমরা এক মহান বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীকে হারালাম।”
বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় ও মানবাধিকার নেতারা ইতোমধ্যে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। পোপের নেতৃত্বে ভ্যাটিকান বৈশ্বিক ন্যায়বিচার, দারিদ্র্য বিমোচন এবং পরিবেশ রক্ষার বিষয়গুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ইউনূস ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের জন্য।
পোপ ফ্রান্সিস তাঁর এ কাজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন এবং একাধিকবার ইউনূস সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।