ভারতকে ইসরায়েলের সমর্থন, যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা, পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি

কাশ্মিরের পেহেলগাম হামলার পরবর্তী আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও সমর্থনের একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাশ্মিরের পেহেলগামে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসছে।

ইসরায়েল ভারতের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে, এবং পাকিস্তান কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।

ইসরায়েলের সমর্থন: “বন্ধু এভাবেই বন্ধুর পাশে থাকে”

পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওরেন মারমোরস্টেইন বলেন,

“আমরা ভারতের পাশে আছি। এটি আমাদের নৈতিক অবস্থান। বন্ধু এভাবেই বন্ধুর পাশে থাকে।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের মতো, আমরাও সন্ত্রাসবাদের শিকার। নির্দোষ অসামরিক নাগরিকদের উপর জিহাদি উগ্রবাদী মানসিকতার সন্ত্রাসী আক্রমণ কেমন তা আমরা গভীরভাবে বুঝি।”

যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা: ভ্রমণ নির্দেশনা জারি

২৩ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ভারত ভ্রমণের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এতে কাশ্মির ও ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সহিংসতা এবং অপরাধের হুমকির কারণে মণিপুর এবং মধ্য ও পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অংশেও ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

পাকিস্তানের হুঁশিয়ারি: “ভারতকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে”

২৪ এপ্রিল ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক শেষে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, “যদি ভারত পাকিস্তানের মাটিতে কোনো অভিযান চালানোর কথা চিন্তা করে, একজন পাকিস্তানিও ক্ষতির সম্মুখীন হলে ভারতকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সম্পূর্ণভাবে ভারতের যে কোনো অভিযানের জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।”

বাংলাদেশের অবস্থান: শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান

বাংলাদেশ সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে অতীতে বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল রয়েছে।

বিশ্লেষণ: দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনার ঘনঘটা

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এমনিতেই সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। এরমধ্যে কাশ্মিরে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা ও পারস্পরিক হুঁশিয়ারির ফলে পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এখন সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকা রাখতে হবে যাতে এই সংকট দুই দেশের মধ্যে পূর্ণমাত্রার সংঘাতে পরিণত না হয়।