বাংলাদেশের বিপক্ষে দলের পারফর্মম্যান্সে মুগ্ধ ল্যাঙ্গাভেল্ট
টুইট ডেস্ক: সিলেট টেস্টে নিজেদের প্রথম দিনে দারুণ করেছে জিম্বাবুয়ে দল। প্রথম দিনের খেলা শেষে শিষ্যদের পারফরম্যান্স নিয়ে মুগ্ধতা ঝরেছে জিম্বাবুয়ের বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্টের কণ্ঠেও। পাশাপাশি ব্যাটারদেরকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি। ল্যাঙ্গাভেল্ট ছিলেন বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচও। টাইগার ব্যাটারদের চরিত্র অজানা নয় তার। সেটাই হয়ত কাজ দিয়েছে সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ল্যাঙ্গাভেল্ট বলেন, ‘দারুণ দিন ছিল জিম্বাবুয়ের জন্য। বোলাররা প্রথম সেশনে কিছুটা বেশি শর্ট বল করেছিল মনে হয়। ব্যাটারদের খেলাতে পারছিল না। পরে দ্বিতীয় সেশনে স্পিনাররা ভালো করেছে। মাঝে কিছু ওভারে তাদের রান করতে দেইনি আমরা। পরে শান্তর উইকেট তুলেছি আমরা। একটি মিনি কলাপ্স হয়েছে তাদের যা আমাদের জন্য দুর্দান্ত ছিল।’
‘স্পিনাররা তৃতীয় সেশনে তাদের ইনিংস শেষ করে দিয়েছে। দারুণ শৃঙ্খলার সাথে বল করেছে সবাই। আমরা নিজেদের শৃঙ্খলাতে অটল ছিলাম। এই উইকেট বাংলাদেশে আমাদের দেখা অন্যতম দ্রুততম উইকেট। আগে এমন দেখিনি। আরও অনেক ক্রিকেট খেলা বাকি আছে যদিও।’
পেসার ভিক্টোর নোয়াচিকে নিয়ে ল্যাঙ্গাভেল্ট বলেন, ‘নোয়াচি দারুণ লেন্থে টাইট বোলিং করেছে। এখানে বাউন্স ছিল। সে আমাদের হয়ে গত কয়েক ম্যাচে দারুণ করছে। ভালো আগ্রাসী ছিল সে। এটা যদি চালিয়ে যেতে পারে, আগ্রাসী এবং সঠিক জায়গায় বল করে যেতে পারে তাহলে এটা আমাদের জন্য জরুরি ব্যাপার হবে কারণ এই উইকেটে অনেক বাউন্স আছে।’
অনেক দিন পর বাংলাদেশে ফিরে কী কী পরিবর্তন দেখছেন জবাবে ল্যাঙ্গাভেল্ট জানান, ‘(বাংলাদেশে) অনেক পরিবর্তন দেখছি। কয়েকজনকে চিনি এখানে। বোলারদের এখানে কাজটা হচ্ছে সঠিক জায়গায় বল করে যেতে হবে লম্বা সময় ধরে। আপনি জানেন ব্যাটাররা কীভাবে ব্যাট করবে। তবুও আপনাকে সঠিক জায়গায় বল করে যেতে হবে। কিছুটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে এগুলোই, তবে অত বেশি না।’
বাংলাদেশের ব্যাটারদের নিয়ে ল্যাঙ্গাভেল্ট জানান, ‘আসলে এটা হতেই পারে, ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে। আমরা ভালো ব্যাট করেছি। শৃঙ্খলার সাথে ব্যাট চালিয়েছি। অনেক সময় মানসিক দিক থেকেও ভুল হতে পারে। একদম বাজে শট হয়েছে এমনও বলতে চাই না। (ব্লেসিং) মুজারাবানি (নাজমুল হোসেন) শান্তকে যে বলে আউট করলো সেটা বেশি বাউন্স করেছিল। স্কোরিং এরিয়াতেই ছিল বলটা। মাঝেমাঝে এমন হতেই পারে, মাঝেমধ্যে মানসিক ভুল করতেই পারে (ব্যাটাররা)।’