ইসরায়েলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, পূর্ণাঙ্গ চুক্তির দাবি হামাসের
টুইট ডেস্ক: ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের দেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাস দাবি করেছে, তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তি চায়, যা ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তির পাশাপাশি তাদের হাতে থাকা সব জিম্মিকেও মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা করবে।
ইসরায়েল সম্প্রতি ৪৫ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব করেছিল, তবে হামাসের জন্য শর্ত ছিল অস্ত্র সমর্পণ। কিন্তু হামাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা কোনো অবস্থাতেই অস্ত্র সমর্পণের শর্ত মেনে নেবে না। হামাসের শীর্ষ নেতা খলিল আল-হায়া টেলিভিশনে এক ভাষণে বলেন, “এখন আর কোনো অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তিতে রাজি হব না।”
হামাসের মতে, ইসরায়েল তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আংশিক চুক্তির দিকে যাচ্ছে, যেখানে সব জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার বদলে কিছু গোষ্ঠীকে বলি দিতে হতে পারে। তাই তারা একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির আলোচনা চায়, যা গাজার যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েলের কারাগারে থাকা সব ফিলিস্তিনির মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন সম্পর্কিত।
হায়া আরও বলেন, “ইসরায়েল ‘অসম্ভব শর্ত’ দিয়ে নানা প্রস্তাব হাজির করছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
জানুয়ারিতে হামাস এবং ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হলেও, তা গত মাসে ভেস্তে যায়। মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করলেও, তা এখনও সফল হয়নি। বর্তমানে, ইসরায়েল ৫৯ জন জিম্মিকে মুক্তি না দিলে তাদের অভিযানের বন্ধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজাকে ‘ডিমিলিটারাইজ’ না করা পর্যন্ত তাদের অভিযান চলবে, কিন্তু হামাসের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে যে, তারা যুদ্ধ বন্ধে কোনো চুক্তি হলে তবেই জিম্মিদের মুক্তি দেবে, তবে অস্ত্র সমর্পণের কোনো প্রশ্নই আসে না।
ইসরায়েলের প্রস্তাবের প্রতি হামাসের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জেমস হিউইট বলেন, “হামাসের মন্তব্য প্রমাণ করে যে তারা শান্তি চায় না, বরং সহিংসতায় আগ্রহী।”
বর্তমানে, গাজার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে এবং যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।