রোহিঙ্গা অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের কাটছাঁট

টুইট ডেস্ক: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তরফে। চলতি সপ্তাহে ঢাকা সফরে আসছেন ট্রাম্প প্রশাসনের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা-দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিক এবং পূর্ব ও প্যাসিফিক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এন্ড্রু হেরাপ।

তাদের সফরে মূল আলোচ্য বিষয় হতে যাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের পরিস্থিতি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, আপাতত অর্থায়ন পুরোপুরি বন্ধের কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের সহায়তা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। যদিও সম্প্রতি ৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন, তবে ভবিষ্যতে তহবিল কমার আশঙ্কা রয়েছে।

কাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন কর্মকর্তারা?

চার দিনের সফরে ঢাকায় আসা নিকোল চুলিকসহ প্রতিনিধি দলটির বৈঠকের কথা রয়েছে- এর মধ্যে রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে (যদিও এটি এখনো নিশ্চিত নয়)। এছাড়া বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তারা।

বৈঠকের মূল এজেন্ডা

ঢাকা ও ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, দুই পক্ষের আলোচনা হবে- রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের পরিস্থিতি, মার্কিন শুল্ক নীতি (বিশেষ করে ৩৭% শুল্ক ইস্যু), বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ, অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবাসন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক, চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ হারানো এলাকা ও আসন্ন নির্বাচন নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ও বর্তমান অবস্থান

২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য ২৪০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বৈদেশিক সহায়তার ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, “এই সফর হবে দুই দেশের স্বার্থ নিয়ে সরাসরি কথা বলার একটি বড় সুযোগ। রোহিঙ্গা সংকটের পাশাপাশি শুল্ক ইস্যুটিও গুরুত্বপূর্ণ।”