গরমেও গরম পানি পান করবেন যে কারণে

টুইট ডেস্ক: গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহের সময়, বরফ-ঠান্ডা পানি পান করা স্বাভাবিক বলে মনে হয় এবং এমনটা আমরা প্রায় সবাই করি। কিন্তু যদি এসময় ঠান্ডা পানির বদলে গরম পানি পান করেন তাহলে কী হবে? এই অভ্যাস কি স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে? ঠান্ডা পানি সাময়িক স্বস্তি প্রদান করে ঠিকই তবে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, গরম পানি গ্রীষ্মের সুস্থতার অখ্যাত নায়ক হতে পারে। হজমে সহায়তা করা থেকে শুরু করে বিষাক্ত পদার্থ দূর করা পর্যন্ত, এই সহজ অভ্যাস তীব্র গরমেও অনেকগুলো সুবিধা দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. টক্সিন দূর করে

গরম পানি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ারের মতো কাজ করে। ঠান্ডা পানি রক্তনালীগুলোকে সংকুচিত করে, রক্ত ​​সঞ্চালনকে ধীর করে এবং বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে বাধা দেয়। তবে উষ্ণ পানি রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করে, রক্ত ​​প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং লিভার এবং কিডনির মতো অঙ্গগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে বর্জ্য পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে। উষ্ণ পানি ঘাম এবং প্রস্রাব বৃদ্ধি করে, এগুলো হলো বিষাক্ত পদার্থ নির্মূলের দুটি মূল উপায়।

২. হজমে সহায়তা করে

গ্রীষ্মে পেট ফাঁপা বা ক্র্যাম্পের মতো হজমের সমস্যা প্রায়শই বেড়ে যায়। ঠান্ডা পানি অন্ত্রের সিস্টেমকে ধাক্কা দেয়, পেটের তাপমাত্রা কমায় এবং এনজাইমের কার্যকলাপ ধীর করে। গরম পানি উষ্ণতা বজায় রাখে, হজম মসৃণ রাখে এবং ক্র্যাম্পের ঝুঁকি কমায়। গরম পানি পান করলে তা কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে। জার্নাল অফ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উষ্ণ পানি গ্রহণের ফলে মলত্যাগের ফ্রিকোয়েন্সি ৪০% বৃদ্ধি পায়।

৩. সঠিক হাইড্রেশন

ঠান্ডা পানি তাৎক্ষণিকভাবে তৃষ্ণা নিবারণ করলেও এটি শরীরকে খুব দ্রুত হাইড্রেটেড বোধ করতে প্ররোচিত করতে পারে, যার ফলে অপর্যাপ্ত তরল গ্রহণের সম্ভাবনা থাকে। ধীরে ধীরে পান করা গরম পানি দীর্ঘস্থায়ী হাইড্রেশন নিশ্চিত করে।

গরম পানির উপকারিতা নিয়ে গবেষণা আশাব্যঞ্জক হলেও মিশ্র। NCBI-এর একটি গবেষণায় অন্ত্রের গতিশীলতা উন্নত করতে এবং পেট ফাঁপা কমাতে এর ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে। তবে, কিছু বিশেষজ্ঞ যুক্তি দেন যে হাইড্রেশনের সুবিধাগুলো ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে। মূল বিষয় হলো ধারাবাহিকতা, যেমন প্রতিদিন গরম পানিতে চুমুক দেওয়া শরীরকে ধীরে ধীরে এর উপকারিতা সর্বোত্তমভাবে অনুকূল করতে প্রশিক্ষণ দেয়।