পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড! ২৮ বস্তা টাকা, ৪৫০ জন গণনায় নিয়োজিত
টুইট ডেস্ক: চার মাস পর খোলা হলো কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স, এবার টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে যেতে পারে অতীতের সব রেকর্ড।
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে আবারও মিলেছে বিশাল অঙ্কের দান। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে খোলা হয় মসজিদের ১১টি দানবাক্স। এগুলো থেকে পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা ভর্তি টাকা। এবার টাকার পরিমাণ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্স খোলা হয়। পুরো এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা-সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন।
দান করা টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় নিয়ে গণনা শুরু হয়। এ কাজে নিয়োজিত আছেন প্রায় ৪৫০ জন-এর মধ্যে রয়েছে মাদ্রাসার ২৫০ জন শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৮০ জন কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর খোলা দানবাক্স থেকে সংগ্রহ হয়েছিল রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। তারও আগে আগস্ট, এপ্রিল ও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পাওয়া গিয়েছিল যথাক্রমে ৭.২২ কোটি, ৭.৭৮ কোটি এবং ৬.৩২ কোটি টাকা।
রূপালী ব্যাংকের এজিএম রফিকুল ইসলাম জানান, দানবাক্স থেকে এবারও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সোনা-রূপার অলঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে। এগুলোর হিসাব শেষ হতে রাত পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
জানা গেছে, দানবাক্সে থাকে মানুষের ব্যক্তিগত চিঠি। যেখানে কেউ জানান ভালো ফলাফলের আশা, কেউবা দোয়া চান চাকরির জন্য কিংবা সুস্থতার প্রার্থনা করেন।
মসজিদ কমিটির তথ্য অনুযায়ী, দানের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে। এখান থেকে লভ্যাংশ দিয়ে জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তা করা হয়। বর্তমানে ব্যাংকে জমা রয়েছে প্রায় ৮০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, মসজিদকে ঘিরে একটি বিশাল ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনে একসঙ্গে ৫০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। নারীদের জন্য থাকবে আলাদা নামাজের স্থান ও একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরিও।
স্থানীয়দের বিশ্বাস-এ মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূরণ হয়। মুসলমান ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও এখানে দান করে থাকেন।