মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ডিএমপি
টুইট ডেস্ক: মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে ‘অপহরণ’ করার অভিযোগের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর পর তা অস্বীকার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশ জানিয়েছে, মেঘনাকে ‘অপহরণ’ করা হয়নি, বরং তাকে যথাযথ আইন অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সৌদি দূতাবাসের এক কর্মকর্তা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মেঘনা আলমকে আটক করা হয়েছিল। তবে পুলিশের দাবি, তাকে গ্রেপ্তারের সঙ্গে কোনো অপহরণের সম্পর্ক নেই। বরং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার এবং দেশের ইন্টারন্যাশনাল সম্পর্কের ক্ষতি করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “মেঘনা আলমকে অপহরণ করা হয়নি। তাকে আইনগতভাবে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাকে আইনের অধীনে নিজেদের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে, বুধবার রাতে মেঘনা আলম তার বাসায় ‘দরজা ভেঙে পুলিশ পরিচয়ধারীরা’ প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে ফেইসবুক লাইভ করেন। তবে তার লাইভ ভিডিওটি পরে ডিলিট হয়ে যায়। এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজব ছড়াতে থাকে, যার মধ্যে তাকে অপহরণ বা গুম করার খবরও ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতেই মেঘনাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয়। প্রথমে বাসার দরজা না খুললে পরে তাকে আটক করা হয় এবং মিন্টো রোডে নিয়ে যাওয়া হয়।
শুক্রবার রাতে মেঘনাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে উপস্থাপন করা হয় এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় ৩০ দিনের কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মেঘনা আলম ২০২০ সালে মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।