ঈদের পরও মাছের বাজারে আ(গুন), হিমশিম ক্রেতারা
টুইট ডেস্ক: ঈদ পার হলেও রাজধানীর বাজারে এখনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়তির দিকে। বিশেষ করে মাছের বাজারে দেখা যাচ্ছে বড় ধরনের ঊর্ধ্বগতি। পাবদা, চিংড়ি, টেংরা, শিং, শোল, রুইসহ বেশিরভাগ মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঈদের পর পোলাও-মাংস খাওয়া শেষে এখন অনেকেই মাছের দিকে ঝুঁকছেন। চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বর্তমানে দেশি নদীর চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ৭০০-৮৫০ টাকা। চাষের চিংড়ির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫০-৭৫০ টাকায়। টেংরা বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়, আগে যা ছিল ৫০০-৬০০ টাকা। শিং ৮৫০-৯০০ টাকা, শোল ৮০০-৮৫০ টাকা, পুঁটি মাছ ৬০০-৮০০ টাকা এবং মাঝারি সাইজের রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়। এমনকি সাধারণ চাষের পাঙ্গাস ও তেলাপিয়াও ছাড় দিচ্ছে না-দাম ২০০-২২০ টাকা কেজি।
রামপুরা বাজারে কথা হয় গৃহিণী নারগিস বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, “ছোট মাছ খাওয়ার কথা বাচ্চারা বললে শুধু আফসোসই করা যায়। এখন মাছ খাওয়া যেন বিলাসিতা।”
বেসরকারি চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, “রমজানে যা দাম ছিল, ভেবেছিলাম ঈদের পর কিছুটা কমবে। কিন্তু উল্টো বেড়েই চলেছে।”
বনশ্রীতে বাজার করতে আসা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী আবদুল হাকিম বলেন, “আগের মতো বড় রুই মাছ কেনা এখন স্বপ্ন হয়ে গেছে। এই মাছে-ভাতের দেশেই মাছ এখন নাগালের বাইরে।”
এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তারা দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বিক্রেতাদের দাবি, ঈদের পর রাজধানীতে মাছের চাহিদা বেড়েছে। তবে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুরসহ বিভিন্ন উৎস এলাকা থেকে এখনো পর্যাপ্ত মাছ না আসায় বাজারে সরবরাহ কম। সেই সঙ্গে পরিবহন খরচও বেড়েছে, যা দাম বাড়ার আরেকটি কারণ।