শেখ হাসিনা ও পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের আদেশ

শেখ হাসিনা-শেখ রেহানা-সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

টুইট ডেস্ক: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং ছোট বোন শেখ রেহানা সিদ্দিকের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত।

এই আদেশটি দেওয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের কাছে উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে একটি আবেদন জমা দেয়।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, আদালত বলেছে যে এই ব্যক্তিরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র স্থানান্তর বা হস্তান্তর করার চেষ্টা করছে, যা সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য প্রতিবন্ধক হতে পারে।

দুদকের পক্ষ থেকে আবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ রেহানা তাদের বিভিন্ন অস্থাবর সম্পদ বিক্রি বা স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন। তাই এই অ্যাকাউন্টগুলোকে অবিলম্বে ফ্রিজ করা প্রয়োজন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

এছাড়া, এর আগে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের প্লটসহ অন্যান্য সম্পদ জব্দ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদক ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনার পরিবার ও তাদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে সরকারের কোষাগার থেকে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মুজিববর্ষ পালন ও শেখ মুজিবের ম্যুরাল নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে, মুজিববর্ষের ব্যয়ের এবং দুর্নীতির তদন্তে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দুদকের তদন্তাধীন মামলায় অনুসন্ধান চলছে, যেখানে অভিযোগ রয়েছে যে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ভুলভাবে টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।

এ ছাড়া, শোনা যাচ্ছে যে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সরকারের বরাদ্দ অর্থের অপব্যবহার সংক্রান্ত আরও তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে। কিছু সূত্র জানিয়েছে, এই তদন্তের পর আরও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, যার মধ্যে সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশন জানিয়েছে যে তারা এই অনুসন্ধান দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছে এবং এর ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।