চায়না-আমেরিকা বাণিজ্য যুদ্ধ: পাল্টা হুমকি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে চায়না এবং আমেরিকা একে অপরকে পাল্টা হুমকি দিয়ে চলেছে। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে চায়না থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি আসার পর, বেইজিং এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা কিছু পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১০৪ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের হুমকির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “যদি আমেরিকা বাণিজ্য ও শুল্কযুদ্ধ অব্যাহত রাখে, তবে চায়না তা শেষ করার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপ নেবে।” লিন আরও বলেন, “বাণিজ্যযুদ্ধে কেউ জয়ী হতে পারে না, চাপ ও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে চায়নাকে দমিয়ে রাখা যাবে না।”
এ সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চায়নার পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে চায়না আমেরিকার সমস্ত পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। যদি চায়না তাদের পাল্টা পদক্ষেপ প্রত্যাহার না করে, তবে ট্রাম্প ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং এই বাণিজ্য যুদ্ধের ফলস্বরূপ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের সংকট হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন। তার মতে, ট্রাম্পের শুল্ক ব্যবস্থা দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়া তাদের আমদানি করা পণ্যের উপর শুল্ক কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো জানিয়েছিলেন, তারা অ্যামেরিকা থেকে আমদানি করা কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কমাবে, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক পণ্য এবং ইস্পাতের ওপর।
চায়নার সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতি পুরোপুরি অনিশ্চিত এবং বিশ্বের বাণিজ্য নীতির ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এই পরিস্থিতি শিগগিরই নতুন এক গুরত্বপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে, যেখানে বিশ্ব অর্থনীতি ও বাণিজ্য প্রবাহের জন্য আরও বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হতে পারে।