গাজা: বেসামরিকদের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসনে জাতিসংঘের উদ্বেগ
টুইট ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ১৮ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি। যুদ্ধের বিভীষিকা, মানবিক সাহায্যের অভাব এবং পূর্ণ অবরোধের ফলে অঞ্চলটি এখন ‘একটি মৃত্যুপুরী’তে পরিণত হয়েছে, বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, “গাজায় এক ফোঁটা সাহায্যও প্রবেশ করছে না। খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ-কিছুই নেই। মানুষ অন্তহীন মৃত্যুর চক্রে বন্দি।”
বিরাম ভেঙে আবারও আগ্রাসন-
চলতি বছরের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক চাপে একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল। তবে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের বিমান হামলা শুরু করে তারা, মূলত হামাসের সঙ্গে আলোচনায় অচলাবস্থার জেরে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার হামলায় অন্তত ১,৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩,৬০০ জন আহত হয়েছেন।
মানবিক সহায়তা বন্ধ, সংকটে লাখো মানুষ-
জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, এক মাসের বেশি সময় ধরে গাজায় কোনো ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ করেনি। সীমান্তে সাহায্যের ট্রাক আটকে আছে, আশ্রয় সামগ্রী ও খাদ্যসামগ্রী স্তূপ হয়ে জমে আছে।
গুতেরেস বলেন, “ইসরায়েল একজন দখলদার শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গাজাবাসীদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে বাধ্য। কিন্তু বাস্তবে এর কিছুই হচ্ছে না।”
মানবিক কর্মীরা ‘বীর’ প্রয়োজন নিরাপত্তা-
জাতিসংঘ মহাসচিব গাজায় কাজ করা মানবিক কর্মীদের ‘বীর’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “তারা জীবন বাজি রেখে সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন অতি জরুরি।”
গাজার এই দুঃসহ বাস্তবতায় আন্তর্জাতিক দায়-
গুতেরেসের মতে, একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি না আসা পর্যন্ত এই সংকট কাটবে না। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যেন গাজার নিরীহ মানুষ অন্তহীন মৃত্যুর ফাঁদ থেকে মুক্তি পায়।