বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু, ইন্টারনেট যুগে নতুন সম্ভাবনার দ্বার

বদিউল আলম লিংকন: রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আজ (৯ এপ্রিল) শুরু হওয়া বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে স্টারলিংকের ইন্টারনেট-সেবা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্মেলনের সরাসরি সম্প্রচারসহ অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।

দ্রুতগতির হলেও তুলনামূলক ব্যয়বহুল এই সেবা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম চালু হয় ভুটানে। বাংলাদেশে এটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ভারতেও এর কার্যক্রম এগোচ্ছে।

স্টারলিংকের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সহজলভ্য হবে বলে আশা করছেন প্রযুক্তিবিদরা। ফলে শহর ও গ্রামের ডিজিটাল বৈষম্য কমবে। তরুণরা গ্রামে বসেই আন্তর্জাতিক মানের কাজ যেমন ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। দুর্যোগকালীন সময়ে দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনেও এটি সহায়ক হবে।

স্টারলিংক ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে বিনিয়োগের নিবন্ধন নিয়েছে এবং বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স অনুমোদনের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ হারুন জানিয়েছেন, ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম চালুর প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে ২৯ মার্চ নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।

এই উদ্যোগ কেবল প্রযুক্তি খাতে নয়, বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও বৈশ্বিক সংযোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। বিশেষ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে এটি হতে পারে একটি যুগান্তকারী সংযোজন।

তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এই ব্যয়বহুল সেবা কতটা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আসবে? সরকারের সক্রিয় ভূমিকাই নির্ধারণ করবে স্টারলিংকের সুফল কতটা বিস্তৃত হবে।