ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামে অটল বাংলাদেশ: রাষ্ট্রদূত রামাদানের শ্রদ্ধা

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশের জনগণের অসীম মানবিকতা ও সহানুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদান বলেছেন, “আমরা তোমাদের মহত্ত্ব ভুলব না এবং তোমাদের মানবতাও ভুলব না।”

গাজার মাটিতে ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল বাংলাদেশের প্রতিটি শহর। ছাত্র-যুবকসহ সাধারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে ফিলিস্তিনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এক নৈতিক শিক্ষা দিয়েছে।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি ও প্রতিবাদে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব বিক্ষোভে বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও সমর্থন জানাচ্ছে, যা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদানের হৃদয়কে স্পর্শ করেছে।

তিনি তার এক লিখিত বক্তব্যে বলেছেন, “ফিলিস্তিন ও তার জনগণের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের অকুণ্ঠ সহানুভূতি দেখে আমি অবাক হইনি।”

বিপন্ন ফিলিস্তিনির পাশে দাঁড়ানো বাংলাদেশের জনগণ

উল্লেখযোগ্যভাবে, ইউসুফ রামাদান আরও জানান, এই প্রতিবাদ সমাবেশগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ শুধু ফিলিস্তিনকে নয়, বিশ্বকে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠিয়েছে। এই বার্তা হল—ফিলিস্তিনের জনগণ একা নয়, তাদের পাশে রয়েছে এক মানবিক জাতি। বাংলাদেশের মানুষ তাদের যন্ত্রণাকে অনুভব করছে এবং তাদের সংগ্রামে সঙ্গী হয়ে থাকবে যতদিন না ফিলিস্তিন তাদের স্বাধীনতা এবং মর্যাদা ফিরে পায়।

গাজার স্বাধীনতা সংগ্রামে অটল বাংলাদেশ

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জনগণের প্রতি এক গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন, বলেও তিনি বলেন, “যতদিন ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীনতা, মর্যাদা এবং শান্তিপূর্ণভাবে মাতৃভূমিতে বসবাসের অধিকার অর্জন না করবে, ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষ তাদের পাশে থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিনের জনগণকে, তাদের স্বাধীনতা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত, কোনও ঔপনিবেশিক শক্তির কাছে মাথা নত করতে হবে না।” ইউসুফ রামাদান স্পষ্ট করেন, যে সংগ্রাম চলছে তা শেষ হবে না যতদিন না ফিলিস্তিন তাদের স্বাধীনতা ফিরে পায়।

বাংলাদেশি জনগণের শক্তিশালী বার্তা: বিশ্বে মানবতার সুরক্ষা

ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের এই একাত্মতা পৃথিবীকে মানবতার একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠায়। বাংলাদেশের জনগণের মহত্ত্ব ও সহানুভূতি সারা পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, যা মানবতার পক্ষে এক দৃঢ় অবস্থান।

“যতদিন ফিলিস্তিন মুক্ত না হবে, আমরা প্রতিরোধ চালিয়ে যাব,” ইউসুফ রামাদানের এই কথাগুলি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের জনগণের মধ্যে সম্পর্কটি শুধু একটি রাজনৈতিক নয়, বরং মানবিক বন্ধনের প্রতিফলন।

বাংলাদেশের জনগণের এই সাহসিকতা ও মানবিক সংগ্রাম ভবিষ্যতে বিশ্বে মানবাধিকার, শান্তি, ও স্বাধীনতার পক্ষে শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবে।