বগুড়ায় সাংবাদিক পেটানোয় ধৃত ৬, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

টুইট ডেস্ক: পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দুই সাংবাদিকের ওপর নির্মম হামলার ঘটনায় বগুড়ায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। রোববার রাতে শহরের কলোনি, বনানী ও গণ্ডগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি ধারালো বার্মিজ চাকু। পুলিশের পক্ষ থেকে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে। হামলায় আহত সাংবাদিকরা এখন চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে—বাংলাদেশে সাংবাদিকরা কতটা নিরাপদ?

আহতরা হলেন, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর উত্তরাঞ্চল প্রতিনিধি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বগুড়া প্রতিনিধি খোরশেদ আলম এবং বগুড়া লাইভ অনলাইন পোর্টালের স্টাফ করেসপনডেন্ট আসাফুদৌলা (নিয়ন)। হামলার সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা তৌফিকুল ইসলামকেও মারধর করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায় জেলখানা মোড়ের একটি জুস বারে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করে পুলিশ। পরে একাধিক অভিযানে ছয়জনকে আটক করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে আগেও হত্যা, মাদক ও ডাকাতির প্রস্তুতির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। রাকিবুল ইসলাম রাকিবের বিরুদ্ধে দুটি এবং হাবিবুর রহমান রকির বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের টার্গেট করেই এই হামলা চালানো হয়েছে। জেলা ডিবির পরিদর্শক রাকিব হোসেন জানিয়েছেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

এই হামলা শুধু কিছু সন্ত্রাসীর হাতে সাংবাদিক নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা নয়; এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার ও পেশাগত সুরক্ষার ওপর সরাসরি আঘাত।

সাংবাদিক মহল ও সাধারণ মানুষ এখন প্রশ্ন রাখছেন—এই ঘটনার কি আদৌ বিচার হবে? নাকি এও অন্যান্য হামলার মতো ধামাচাপা পড়ে যাবে? সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র কতটা নিরাপদ থাকবে—এটাই এখন সবচেয়ে বড় উদ্বেগ।