ইসরায়েলি অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ

টুইট ডেস্ক: ফিলিস্তিন বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে ইতালীয় আইনজীবী ফ্রান্সেস্কা আলবানিজের মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও ইসরায়েলি সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টার পরও তার অপসারণ সম্ভব হয়নি। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলি সরকারের কর্মকাণ্ডকে তিনি পূর্ণ গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন, যা তাকে তীব্র আক্রমণের শিকার করেছে।

ইসরায়েলি সরকারের পাশাপাশি আর্জেন্টিনা ও হাঙ্গেরির বিরোধিতা সত্ত্বেও ৪৭টি সদস্য দেশ তার মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে।

কীভাবে আলবানিজ জনপ্রিয় হয়েছেন?

১৯৭৭ সালে ইতালিতে জন্ম নেওয়া ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ আন্তর্জাতিক আইন অধ্যয়ন করেন জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান বিষয়ক দফতর আনরোয়াতে কাজ করার পর, ২০২২ সালে তাকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

গাজা যুদ্ধের সময় তিনি ইসরায়েলি সরকারের কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে, যা তাকে বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত করেছে, যদিও ইসরায়েলি সমালোচনা তার পিছু ছাড়েনি। তার বক্তব্য, ইসরায়েল জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে এবং গাজায় হামলা মানবাধিকার লঙ্ঘনের এক চূড়ান্ত উদাহরণ।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রশংসা

আলবানিজের কাজের জন্য তাকে বহু মানবাধিকার সংগঠন এবং ফিলিস্তিনিপন্থী গোষ্ঠী ধন্যবাদ জানিয়েছে। ইরানের বেসরকারি শান্তি ও পরিবেশ কেন্দ্র তাকে ২০২৫ সালের ড. তাগি এবতেকার পুরস্কারের জন্য উপযুক্ত মনে করছে।

ইসরায়েলি সমালোচনায় তার ভূমিকা

আলবানিজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসরায়েল এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে নিয়মিত বক্তব্য দেন। ২০১৪ সালে আমেরিকাকে ইহুদি লবির দাস বলে মন্তব্য করার পর, তিনি গাজার জনগণের প্রতি ইসরায়েলি নিপীড়ন প্রকাশ করেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন।

এই ধরনের মন্তব্যের কারণে কিছু ইসরাইলপন্থি গোষ্ঠী তাকে ইহুদি-বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তবে, আলবানিজ তার বক্তব্যে স্পষ্ট করেছেন যে তিনি শুধুমাত্র ইসরায়েলি শাসন এবং তাদের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলছেন এবং ইহুদি জনগণের বিরুদ্ধে কোনো বিদ্বেষ পোষণ করেন না।