৬৫ হিসাবে ৭২২ কোটি টাকা লেনদেন, স্ত্রীসহ আসামি হাছান মাহমুদ

টুইট ডেস্ক: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৭২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে।

দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন রোববার (৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদের জানান, দুটি মামলার বিষয়টি। তিনি বলেন, হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি জানানো আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

এছাড়া তার নাম, যৌথ ও প্রতিষ্ঠানের নামের ৯টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের কথাও বলা হয়েছে।

এদিকে, হাছান মাহমুদের স্ত্রী নুরান ফাতেমার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার ৯০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তার নাম, যৌথ ও প্রতিষ্ঠানের নামে ৫৬টি ব্যাংক হিসাবে ৬৮৩ কোটি ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে।

দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, “এই দুটি মামলায় হাছান মাহমুদকে আসামি করা হয়েছে, তার স্ত্রী নুরান ফাতেমার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।”

অপর মামলায় দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে হাছান মাহমুদও অপসহায়তার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।

অভিযোগের মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারার আওতায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদক ২০০৪ সালের আইন অনুযায়ী এই অভিযোগগুলি দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়া, মামলার পর দুদক তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

সম্মিলিত কার্যালয় ঢাকা-১ এর উপ-পরিচালক কমলেশ মন্ডল বাদী হয়ে প্রথম মামলা দায়ের করেন, এবং দ্বিতীয় মামলায় দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন বাদী হন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের দুর্নীতি কেবল দেশের অর্থনীতির উপরই নয়, সরকারের ভাবমূর্তির উপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি আস্থাহীনতা সৃষ্টি হতে পারে।

এমন তদন্তে জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এবং প্রশাসনকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হতে পারে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, দুর্নীতি দমন কমিশন দ্রুততম সময়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে, যাতে জনগণের মধ্যে বিশ্বাস ফিরে আসে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

এখনও তদন্তের ফলাফল আসেনি, তবে এই মামলার সমাধান একদিন দেশের রাজনৈতিক ও আর্থিক ব্যবস্থার উন্নতি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।