মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প: নি(হত) বেড়ে ৬৯৪, আহত ১৬৭০

টুইট ডেস্ক: মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯৪ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৬৭০ জন। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

শনিবার স্থানীয় সময় জান্তা সরকার এ তথ্য জানিয়েছে বলে এএফপি জানায়।

শুক্রবার ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে রাজধানী নেপিডোর রাস্তায় বড় ফাটল দেখা গেছে এবং বহু ভবন ধসে পড়েছে। সরকারি কর্মচারীদের আবাসিক ভবনসহ বেশ কয়েকটি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের পর মিয়ানমারের কেন্দ্রস্থলে উদ্ধার কার্যক্রমে তৎপরতা শুরু হয়েছে। মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের সন্ধানে কাজ করে যাচ্ছেন। ভূমিকম্পের ভয়াবহতায় মানুষের ঠাঁই হয়েছে রাস্তায়। ঘরের ভেতরে যেতে তারা ভয় পাচ্ছেন।

মিয়ানমারের সামরিক প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তা ও অনুদানের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ আঞ্চলিক সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে। মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, মিয়ানমারকে সহায়তায় জাতিসংঘ প্রস্তুত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুবাই থেকে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়েছে।

এ ছাড়া ভারত সর্বাত্মক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো নিশ্চিত করেছেন, তারা সহায়তা পাঠাতে প্রস্তুত। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাও ত্রাণ কার্যক্রমের পরিকল্পনা করছে। তবে ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবেশে সীমাবদ্ধতার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২১ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয়ের সাগাইং শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দূরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককেও কম্পন অনুভূত হয়।

এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও কম্বোডিয়াতেও কম্পন টের পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের পরপরই ৬.৪ মাত্রার একটি আফটারশকও হয়, যা আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দেয়।