ইডির চেয়ার দখল করে বাধ্যতামূলক অবসরে প্রকৌশলী

জাহাঙ্গীর আলম খান ও শফিকুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালকের (ইডি) চেয়ার দখলের মাত্র দুই দিনের মাথায় চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরের চিঠি পেলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান। মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে তাকে অবসরে পাঠানো হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ার স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ধারা ৪৫ এবং সরকারি চাকরি (সংশোধন) আইন, ২০১৩-এর উপধারা ২ (গ)-এর ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে তাকে অবসর দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

বিএমডিএর সেচ শাখার প্রধান জাহাঙ্গীর আলম খান গত ২৩ মার্চ কোনো অফিস আদেশ ছাড়াই সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকের (ইডি) দায়িত্ব নেন। ওই পদে তখন অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম খান ও কয়েকজন কর্মকর্তা তাকে রেশম উন্নয়ন বোর্ডে যোগদানের জন্য চাপ দেন এবং জোর করে অফিস ছাড়তে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে শফিকুল ইসলাম বাধ্য হয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন, যার ফলে জাহাঙ্গীর আলম খান দায়িত্ব নেন।

এই ঘটনার পর প্রশাসনের নজর পড়ে এবং মাত্র দুই দিনের মাথায় জাহাঙ্গীর আলম খানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “আমি একটি চিঠি পেয়েছি, যা দেখে মনে হচ্ছে বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশ। তবে বিষয়টি নিশ্চিত নই এবং জানার চেষ্টা করছি।”

বিএমডিএ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম হীরক বলেন, “সরকারি পদে থাকা একজন কর্মকর্তাকে জোর করে বের করে দেওয়া অনৈতিক। এ ধরনের ঘটনার দৃষ্টান্ত স্থাপন না করলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ ঘটনা ঘটতে পারত। বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত যথাযথ এবং এটি বিএমডিএর জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।”

এই ঘটনার মাধ্যমে সরকারি প্রশাসনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সরকারের কঠোর অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট হলো।