পিসিএ ফ্রেমওয়ার্ক : দুর্বল ব্যাংকের ঋণ ও আমানত সংগ্রহে লাগাম

ছবি : সংগৃহীত

টুইট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব প্রম্পট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে ব্যাংকগুলির ঋণ ও আমানত ব্যবস্থার নতুন শ্রেণি তৈরি করেছে। যে ব্যাংকগুলি খেলাপি ঋণ ধারাবাহিকভাবে ২৪ মাস পর্যন্ত ১৪% এবং ক্যাপিটাল টু রিস্ক ওয়েটেড অ্যাসেটস রেশিও (সিআরএআর) ৫% এর কম থাকবে, তারা চতুর্থ ক্যাটাগরিতে পড়বে। এই ব্যাংকগুলি নতুন আমানত এবং ঋণ নিতে পারবে না।

আর্থিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা বজায় রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নতুন ফ্রেমওয়ার্ক চালু করেছে। এর আওতায় দেশের তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণ ও ক্যাপিটাল রেশিও এর ওপর ভিত্তি করে ৪ (চার) ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।

৬ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৭ অনুসারে, এসব ব্যাংক তার শেয়ার হোল্ডারদের কোনো ধরনের ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে পারবেন না। অবশ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যাংকগুলো স্টক ডিভিডেন্ড বণ্টন করতে পারবে।

যদি কোনো ব্যাংকের ক্যাপিটাল রেশিও ১০ শতাংশের বেশি এবং খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশের কম হয় এবং এমন আর্থিক অবস্থা যদি ৬ মাস পর্যন্ত অতিবাহিত করে, তাহলে সেই ব্যাংক প্রথম ক্যাটাগরিতে পড়বে।

টানা ১২ মাস যে সকল ব্যাংকের ক্যাপিটাল রেশিও ১০ শতাংশের নিচে এবং নন-পারফর্মিং লোন বা খেলাপি ঋণ ৮ শতাংশের বেশি থাকবে, সেসব ব্যাংক দুই দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে পড়বে।
আয় ধরে রাখতে এই ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ বণ্টনের অনুমোদন দেওয়া হবে না, একইসঙ্গে ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয়ের জন্য অনুমোদিত বৃদ্ধির হার পূর্ববর্তী বছরের ব্যয়ের ৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে।

ক্যাপিটাল রেশিও ৮ শতাংশের নিচে এবং নন-পারফর্মিং লোন ১১ শতাংশের বেশি হলে সেই ব্যাংক তৃতীয় ক্যাটাগরিতে পড়বে।
এই ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে কোনো ধরনের নতুন লেনদেনে জড়াতে অয়ারবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি ছাড়া দেশে বা বিদেশে নতুন শাখা, উপ-শাখা, বা সহায়ক সংস্থা খুলতে পারবে না।

এ ধরনের ব্যাংক দেশে বা বিদেশে তাদের বিদ্যমান সহায়ক সংস্থাগুলোতেও তাদের বিনিয়োগ বাড়ানো থেকে বিরত থাকবে। এই ব্যাংকগুলো কেবল অটোমেশন বা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্পর্কিত মূলধন ব্যয় করতে পারবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ২০২৪ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংকগুলোতে এই চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। এবং ফ্রেমওয়ার্কটি কার্যকর হবে আগামী ২০২৫ সালের মে মাস থেকে।