হাসিনাবিরোধী গণবিক্ষোভের কথা আগেই জানত ভারত: জয়শঙ্কর

টুইট ডেস্ক: ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেশটির মানুষের ক্ষোভ সম্পর্কে ভারত ওয়াকিবহাল ছিল। তবে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব ছিলো না বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

শনিবার পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এ তথ্য জানায়।

জয়শঙ্কর দাবি করেন, ভারত খুব বেশি কিছু করার মতো অবস্থানে ছিল না। কারণ তাদের কাছে শেখ হাসিনার উপর প্রয়োজনীয় প্রভাবের অভাব ছিল। তারা হাসিনাকে শুধুমাত্র ‘পরামর্শ’ দিতে পারতেন।
কমিটির সদস্যদের সঙ্গে জয়শঙ্কর সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা)-এর ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা করেন। জয়শঙ্কর ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, সার্ক আলোচনার টেবিলের বাইরে নয় এবং এটিকে স্থগিত রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে সার্ককে পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে সার্ক অকেজো হয়ে রয়েছে। ইসলামাবাদে ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ২০১৬ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সে বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতের উরিতে একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার পর ভারত তাদের অংশগ্রহণ বাতিল করে দেওয়ায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। তারপর থেকে ভারত বিমসটেক (বঙ্গোপসাগরীয় বহু-ক্ষেত্রীয় প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য উদ্যোগ) সহযোগিতাকে সমর্থন করে আসছে।

অবশ্য সম্প্রতি জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সার্ককে পুনরুজ্জীবনের জন্য উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।

পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটি জয়শঙ্করের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে ‘খোলামেলা’ আলোচনা করতে বৈঠকে বসেছিলেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও পাকিস্তান এতে প্রাধান্য পায়।

জয়শঙ্কর জানান, ভারত বাংলাদেশের ভেতরের অস্থির পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্কের সাম্প্রতিক বক্তব্যের উল্লেখ করেন। জাতিসংঘ তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল যে, যদি তারা নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায়, তাহলে তাদের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।