পলাতক ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ নেই: তারেক রহমান
টুইট ডেস্ক: শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনস্থ লেডিস ক্লাবে বিএনপি আয়োজিত পেশাজীবীদের সম্মানে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
অনুষ্ঠানে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান যে, এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়, যাতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়।
তারেক রহমান বলেন, “বর্তমানে সংস্কার এবং নির্বাচনকে যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলা হয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক।” তিনি উল্লেখ করেন, যারা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছেন, তাদের বোঝা উচিত যে সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া; এটি কখনো শেষ হয় না।
তিনি আরও বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার অর্থ সারা দেশে ঘাপটি মেরে থাকা পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।”
তারেক রহমানের মতে, নাগরিকরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী না হলে কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না।
অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পেশাজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক এম আজিজ, আবদাল আহমেদ, নূরুদ্দিন আহমেদ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, সংগীত শিল্পী মনির খান, কনকচাঁপা, বেবী নাজনীন ও ন্যান্সি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন, “দীর্ঘ দেড় দশকের মাফিয়া শাসনকালে তরুণ প্রজন্মের প্রায় সাড়ে তিন কোটি ভোটারসহ, কেউ ভোট দিতে পারেনি। এসব ভোটারদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্য সবার আগে উচিত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান। নাগরিকরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন না হলে কোনো সংস্কারই টেকসই হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখেছি পলাতক স্বৈরাচারের শাসনকালে সিভিল সোসাইটি এবং পেশাজীবীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের সক্রিয় সহযোগী হয়ে উঠেছিল। দেশের যেসময় গুম, খুন, নারী ধর্ষণ, অপহরণ, দুর্নীতি ও টাকা পাচার, এমনকি আয়নাঘরের মতো বর্বর বন্দিশালার বিরুদ্ধে তাদের একটি বড় অংশ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি কিংবা করেনি।”
তারেক রহমানের বক্তব্যে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব এবং স্বৈরাচারবিরোধী ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
ভিডিও প্রতিবেদন: