বাংলা ও ইংরেজির বই আসেনি, বিপাকে ভারতের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা

টুইট ডেস্ক: আগামী বছর থেকে ভারতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সেমিস্টার পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।

তৃতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের মূল্যায়নের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত ফল নির্ধারিত হবে, ফলে তৃতীয় সেমিস্টারের গুরুত্ব বেড়ে গেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পাঠ্যবই সংকট।

পাঠ্যবই না পাওয়ার সংকট

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে তৃতীয় সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হলেও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে বাংলা, ইংরেজি ও শারীরশিক্ষার বই এখনো পৌঁছায়নি। সাধারণত, এসব বই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দফতর বিনামূল্যে সরবরাহ করে। কিন্তু এবার শিক্ষার্থীরা এখনো সেই বই হাতে পায়নি।

শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভিযোগ, বাজারেও বাংলা ও ইংরেজির সহায়ক বই পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ সংশোধিত পাঠ্যক্রম সম্পর্কে কারও সুস্পষ্ট ধারণা নেই।

কী কারণে বিলম্ব?

বেসরকারি প্রকাশকদের বইগুলো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের (WBCHSE) অনুমোদন পাওয়ার পর বাজারে আসে। তবে, বাংলা ও ইংরেজি বই সরকারিভাবে প্রকাশিত হওয়ায় তা আগেভাগে ছাপানোর বাধা থাকার কথা নয়। তা সত্ত্বেও এসব বই এখনো স্কুলে না পৌঁছানোয় প্রশ্ন উঠছে।

একটি স্কুলের শিক্ষক জানান, “বাংলা ও ইংরেজির বই আমরা বাজার থেকে কিনতেও পারছি না, কারণ পরিবর্তিত পাঠ্যক্রম কীভাবে সাজানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।”

শিক্ষা সংসদের প্রতিশ্রুতি

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাংলা ও ইংরেজি বই স্কুলে পাঠানো হবে। যদি শিক্ষকদের জন্য অতিরিক্ত বই প্রয়োজন হয়, তাহলে লিখিতভাবে জানালে তা সরবরাহ করা হবে।”

তবে, শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছে, বই পেতে দেরি হলে তৃতীয় সেমিস্টারের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই সংশ্লিষ্টদের দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা (প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৫)