আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ
টুইট ডেস্ক: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি হল পাড়া থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল— “ধরি ধরি না, ধরলে কিন্তু ছাড়ি না”, “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করো, করতে হবে”, “আওয়ামী লীগের চামড়া তুলে নেবো আমরা”, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাই, গড়িমসি চলবে না” ইত্যাদি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “যেই আওয়ামী লীগ দুই হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছে, তিরিশ হাজারের বেশি মানুষকে আহত করেছে, সেই আওয়ামী লীগের আর রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। অবিলম্বে এই দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে, কোনো ধরনের গড়িমসি করা চলবে না।”
এদিকে, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে, যার মূল নকশা তৈরি হয়েছে ভারত থেকে।
হাসনাত আব্দুল্লাহর দাবি, কিছু নির্দিষ্ট নেতাকে সামনে রেখে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন করার পরিকল্পনা চলছে, যা বিভিন্ন মহল থেকে সমর্থন দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের ফিরে আসার জন্য ছাত্র নেতাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে আমরা কোনোভাবেই এ ধরনের ষড়যন্ত্র মেনে নেব না।”
নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি
বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা দাবি করেছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের আরও বিক্ষোভের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। তবে ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সমর্থন দেখা গেছে।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ বিষয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই এই বিক্ষোভ নতুন মাত্রা যোগ করেছে।