ভারতের ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত

মোট ৮৫ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বস্তার এলাকায়।

টুইট ডেস্ক: ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদী বিদ্রোহীদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে একজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ১৮ জন মাওবাদী বিদ্রোহী। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে দান্তেওয়াড়া ও বিজাপুর জেলার সীমান্তবর্তী জঙ্গলে।

এছাড়া, পৃথক আরেকটি ঘটনায় অবুঝমাড় এলাকায় নকশালপন্থীরা একটি আইইডি (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বিজাপুর জেলার গঙ্গালুর পুলিশ ফাঁড়ির অধীন এক জঙ্গলে বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে বিদ্রোহীদের উপস্থিতির তথ্য ছিল, যার ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা ধরে থেমে থেমে গুলিবিনিময় চলে।

বস্তার রেঞ্জের পুলিশ মহাপরিদর্শক সুন্দরাজ পি জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) একজন সদস্য নিহত হয়েছেন এবং ঘটনাস্থলে ১৮ জন মাওবাদী বিদ্রোহী মারা গেছেন। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

অবুঝমাড়ে আইইডি বিস্ফোরণ

সংঘর্ষের পাশাপাশি, নারায়ণপুর জেলার অবুঝমাড় এলাকার গভীর জঙ্গলে দিবাগত রাত তিনটার দিকে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলাকালে বিদ্রোহীরা একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায়।

নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণের কারণে এক সেনা সদস্য ও এক কর্মকর্তার চোখে ধুলো ঢুকে যায়, তবে তারা নিরাপদে আছেন।

২০২৫ সালে ছত্তিশগড়ে সংঘর্ষের পরিসংখ্যান

চলতি বছর ছত্তিশগড়ে মাওবাদী বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর একাধিক সংঘর্ষে মোট ৮৫ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বস্তার এলাকায়।

নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং তাদের দমন করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সংঘর্ষ ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। মাওবাদী বিদ্রোহীরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা ও মধ্যপ্রদেশের কিছু অঞ্চলে তাদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে।