৩ এপ্রিল ছুটি যুক্ত হওয়ায় এবার টানা ৯ দিন ছুটি
টুইট ডেস্ক: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি আরও দীর্ঘ হলো। নির্বাহী আদেশে নতুন করে ৩ এপ্রিলকে ছুটি ঘোষণা করায় এবার তারা টানা ৯ দিন ছুটি উপভোগ করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে সরকারি দপ্তরগুলো ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
কীভাবে গঠিত হলো এই লম্বা ছুটি?
এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছিল, যা চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়। কিন্তু ২৮ মার্চ শুক্রবার হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। একই দিন পবিত্র শবে কদরের ছুটিও রয়েছে, ফলে কার্যত ২৮ মার্চ থেকেই ছুটি শুরু হচ্ছে।
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, অফিস খোলার কথা ছিল ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩ এপ্রিলও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সরকারি কর্মীরা টানা ৯ দিন ছুটি পাবেন।
এর আগে, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটি থাকায় অনেক কর্মী কেবল ২৭ মার্চ অফিস করবেন, তারপরই ছুটিতে চলে যাবেন।
প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি
বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়া নিষিদ্ধ, তবে অর্জিত ছুটি বা ঐচ্ছিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ আছে। ধর্মীয় ঐচ্ছিক ছুটির ক্ষেত্রেও পূর্বানুমোদন লাগবে।
ব্যাংকিং ব্যবস্থা কীভাবে চলবে?
দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা দুই লাখের বেশি। প্রতিবছর ঈদের সময় জরুরি ব্যাংকিং পরিষেবা চালু রাখতে কিছু শাখা খোলা রাখা হয়। তবে এবার বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবার আওতায় পড়ে (যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠান), তারা জনস্বার্থ বিবেচনা করে ছুটির বিষয়ে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
এবারের দীর্ঘ ছুটি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যেমন স্বস্তির, তেমনি এটি বিভিন্ন পরিষেবা ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।