বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ভিত্তিহীন: টিউলিপ সিদ্দিক

টুইট ডেস্ক : বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘ভিত্তিহীন অপপ্রচার’ ও ‘হয়রানিমূলক’ অভিযোগে জড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্য (এমপি) টিউলিপ সিদ্দিক। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

লেবার পার্টির এই এমপি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি। তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিটি মিনিস্টারের দায়িত্বে ছিলেন, তবে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ সরকার কেন সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ না করে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পাঠানো চিঠিতে তাঁর আইনজীবী স্টিফেন হারউড দাবি করেছেন, দুদকের তদন্তের ধরন ‘যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের একটি অগ্রহণযোগ্য প্রচেষ্টা’ বলে মনে করা হচ্ছে।

দুদক শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করছে, যেখানে তিনটি অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিকের নাম উঠে এসেছে। এগুলো হলো- রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি থেকে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়া, ঢাকায় জমি দখল ও মুদ্রা পাচার।

টিউলিপ সিদ্দিক সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিশেষ করে লন্ডনের কিংস ক্রসে সাত লাখ পাউন্ড মূল্যের একটি ফ্ল্যাট কেনার অর্থের উৎস নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সেটি খারিজ করে দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ফ্ল্যাটটি তিনি ২০০৪ সালে তাঁর ধর্মপিতা আবদুল মোতালিফের কাছ থেকে পেয়েছিলেন, যিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এছাড়া, রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই চুক্তির সঙ্গে টিউলিপের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না, যদিও তিনি মস্কো সফর করেছিলেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন।

ঢাকায় জমি কেনা নিয়েও টিউলিপ সিদ্দিক সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় কখনোই তাঁর কোনো জমি ছিল না। এছাড়া, তাঁর বোনকে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের বিষয়টিও আইনগতভাবে বৈধ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের দুদক বলছে, তারা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন দাবি করেছেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ যুক্তরাজ্যের আদালতসহ যেকোনো আদালতে প্রমাণিত হবে।’ সূত্র: দ্য টাইমস