আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ: কুমিল্লা থেকে কঠোর হুঁশিয়ারি
- বাংলাদেশে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ সহাবস্থান সম্ভব নয়
- স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে প্রশাসনের স্বচ্ছতা চান হাসনাত
- চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা এনসিপির
টুইট ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি কুমিল্লার শাসনগাছায় ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ ২৪-এর শহীদ ও আহত গাজীদের স্মরণে গণইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কঠোর মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে আওয়ামী লীগকে ছাত্র-নাগরিক রাস্তায় তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করেছে, আজ সেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এক খাপে দুই তলোয়ার যেভাবে থাকতে পারে না, ঠিক একইভাবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এনসিপি একসঙ্গে থাকতে পারে না।’
হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী ফায়দা নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের কূটনীতিতে যুক্ত হচ্ছে এবং বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই ছাত্র নাগরিকের হারানোর কিছুই নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, ৫ আগস্ট গণভবন এবং বঙ্গভবনের যে পরিণতি হয়েছে তাদের পরিণতিও সে রকম হবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, গত দেড় দশক ধরে কুমিল্লাকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে এবং আগামীতে এনসিপির নেতৃত্বে কুমিল্লার সকল আসনে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাজার দখল, পুকুর দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান এবং জনগণকে তাদের প্রতিরোধে সক্রিয় হতে উৎসাহিত করেন।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে হাসনাত আবদুল্লাহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা পরীক্ষা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এই প্রশাসন সংস্কার না করা পর্যন্ত, আমরা যতক্ষণ না নিশ্চিত হই এই প্রশাসন একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন করতে পারে ততক্ষণ আশ্বস্ত হচ্ছি না।’ তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিন। প্রয়োজনে ধাপে ধাপে যতগুলো উপজেলা রয়েছে সেগুলো ৫-৬টি ধাপে নির্বাচন দিয়ে এই প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন।’
হাসনাত আবদুল্লাহর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজ।’ এছাড়া, বিভিন্ন ভিডিও বার্তায় তিনি আওয়ামী লীগকে আর রাজনীতিতে দেখতে চান না বলে মন্তব্য করেছেন।
এনসিপির এই নেতার বক্তব্য বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে তার উদ্বেগ এবং প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আহ্বান রাজনৈতিক মহলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।