সার্ক পুনরুজ্জীবিতকরণে বাংলাদেশের উদ্যোগ: ভারত কোন অবস্থানে?
টুইট ডেস্ক: ২০২৪ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। বিশেষত, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে তার বৈঠক এই প্রক্রিয়ায় একটি মাইলফলক।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
বাণিজ্যিক ও পরিবহন সংযোগ
দুই দেশের মধ্যে সরাসরি কার্গো শিপিং রুট চালু হয়েছে, যা বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করেছে। এছাড়া, সাত বছরের বিরতির পর পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে।
সামরিক সহযোগিতা
জানুয়ারিতে বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের সামরিক প্রতিনিধিদল পাকিস্তান সফর করে এবং পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে বৈঠক করে। এটি দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
সার্ক পুনরুজ্জীবিতকরণ উদ্যোগ
ড. ইউনূস সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং ঢাকায় এর শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক না হলে ভারতের এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা ভারতের জন্য উভয় সংকট সৃষ্টি করেছে। ভারতকে একইসঙ্গে পাকিস্তান ও চীনের প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে, যা তাদের কূটনৈতিক অবস্থানকে জটিল করে তুলেছে।
সার্বিকভাবে, বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। এই পরিবর্তনগুলো আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতায় কী প্রভাব ফেলে, তা সময়ই বলে দেবে।