কখন ফল খাওয়া উপকারী নয়?
টুইট ডেস্ক: ফল এমন একটি খাবার যা কেউ অপছন্দ করে না। রসালো, পুষ্টিকর এবং অত্যন্ত সুস্বাদু সব ফল খেতে কে না ভালোবাসে! গরমের দিনে এক টুকরো তরমুজ খাওয়া থেকে শুরু করে দ্রুত নাস্তার জন্য এক মুঠো আঙুর খাওয়া, ফল মানেই ঝটপট পুষ্টিকর খাবার। ভিটামিন, ফাইবার এবং প্রাকৃতিক শর্করা সমৃদ্ধ বিভিন্ন ফল শরীরের জ্বালানি বাড়ায় এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৃষ্ণা মেটায়। কিন্তু ফল যতই ভালো হোক না কেন তা সব সময় খাওয়া ঠিক নয়। অবাক হচ্ছেন, তাই না? ভুল সময়ে ফল খাওয়ার ফলে হজমের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। কখন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. খালি পেটে
আপনার কি মনে হয় খালি পেটে ফল খাওয়া আপনার শরীরের জন্য উপকারী হবে? আবার ভাবুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি আপনার রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতা থাকে, তাহলে সকালে শুধুমাত্র ফল খেলেই তা বেড়ে যেতে পারে এবং ক্র্যাশ হতে পারে। এর ফলে আপনি শীঘ্রই ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত বোধ করবেন, যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও সঠিক পদ্ধতি নয়।
২. ভারী খাবারের ঠিক পরে
আমরা অনেকেই ভারী খাবারের ঠিক পরে ফল খাই, ভেবে থাকি যে এটি কিছুটা স্বস্তি দেবে। তবে তা হয় না। কেন? কারণ ফল প্রোটিন এবং চর্বির চেয়ে দ্রুত হজম হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে বেশি খাবারের পরে ফল খেলে তা অন্ত্রে গাঁজন সৃষ্টি করতে পারে, যা অস্বস্তি এবং পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে।
৩. গভীর রাতে
গভীর রাতে ক্ষুধার্ত? যেকোনো মূল্যে ফল এড়িয়ে চলুন! ফল রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় এবং ঘুমানোর আগে ফল খেলে তা ঘুম এবং মেলাটোনিন উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে। মেলাটোনিন আমাদের শরীরের একটি হরমোন যা রাত ও দিন চক্র বা ঘুম-জাগরণ চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে পরের দিন সকালে আপনার ঘুম ঘুম ভাব হবে।
৪. ডেজার্ট হিসেবে
ফল ডেজার্ট হতে পারে না, বিশেষ করে ভারী খাবারের পরে। যেমনটি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, চর্বি এবং প্রোটিনের পরে ফল হজম হয়। ভারী খাবারের সঙ্গে এটি খেলে হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে। এর ফলে গ্যাস এবং পেট ফাঁপা হতে পারে এবং পরে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যেতে পারে।
৫. দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে
দুগ্ধজাত খাবার এবং ফল একসঙ্গে যায় না। দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে ফল খেলে তা হজমের সমস্যা তৈরি করে। পেট ফাঁপা এবং অন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এটি ত্বকের সমস্যাও তৈরি করতে পারে। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।