টিকা দুর্নীতি! সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে ২২ হাজার কোটি টাকার তদন্ত শুরু
টুইট ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে করোনা টিকা কেনায় ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে।
দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার সময় বেক্সিমকো ফার্মাকে সরবরাহকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, সরকারি ক্রয়বিধি অনুসরণ না করে টিকা আমদানিতে বেক্সিমকোকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যুক্ত করায় বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি দামে টিকা কিনতে হয়েছে। সরকার সরাসরি সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে টিকা সংগ্রহ করলে প্রতি ডোজে যে টাকা সাশ্রয় হতো, তা দিয়ে ৬৮ লাখ অতিরিক্ত ডোজ কেনা সম্ভব হতো। অভিযোগ অনুযায়ী, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতি ডোজ টিকা থেকে ৭৭ টাকা করে লাভ করেছে।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “কীভাবে এই টাকা আত্মসাৎ হয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা তদন্ত শেষে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবো।”
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে নৌপথে পালানোর সময় সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন এবং এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
টিকা সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সালমান এফ রহমান পূর্বে মন্তব্য করেছিলেন যে, দ্রুত টিকা পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার প্রমাণ। তিনি উল্লেখ করেন, “ভারত থেকে বাংলাদেশে সংগ্রহ চুক্তির আওতায় কোভিশিল্ডের ৫০ লাখ ডোজের প্রথম চালানটি সোমবার গ্রহণ করা হয়েছে।”
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট অন্তত ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এই সিন্ডিকেটের প্রভাবের কারণেই দেশীয়ভাবে উদ্ভাবিত বঙ্গভ্যাক্স টিকার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।