মেট্রোরেলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার, একক যাত্রার টিকেট বিক্রি শুরু

টুইট ডেস্ক: মেট্রোরেলের কর্মীদের ওপর এমআরটি পুলিশের হামলার ঘটনার পর গঠিত তদন্ত কমিটির আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে ৯টায় একক যাত্রার টিকেট বিক্রি শুরু হয়।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক জানান, বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কর্মবিরতির কারণ ও প্রেক্ষাপট

রোববার বিকেলে সচিবালয় স্টেশনে এমআরটি পুলিশের কয়েকজন সদস্য মেট্রোরেল কর্মকর্তাদের মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর গভীর রাতে ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ’ ব্যানারে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে, রোববার বিকেলে দুই নারী বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ শেষে স্টেশন থেকে বের হতে চাইলে দায়িত্বরত কাস্টমার রিলেশন অ্যাসিস্টেন্ট (সিআরএ) তাদের পরিচয় জানতে চান। এতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়ে তর্কে জড়ান। পরবর্তী সময়ে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে মেট্রোরেল কর্মীদের ওপর হামলা চালান, এক পর্যায়ে এক কর্মকর্তার কাঁধে বন্দুকের আঘাত করা হয় এবং অপর এক কর্মকর্তাকে টেনে নিয়ে মারধর করা হয়।

এ ঘটনায় আহত এক কর্মীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কর্মীদের দাবিসমূহ

হামলার প্রতিবাদে মেট্রোরেল কর্মীরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল:

1. জড়িত পুলিশ সদস্যদের স্থায়ীভাবে বরখাস্ত ও শাস্তি নিশ্চিত করা।
2. মেট্রোরেল কর্মী ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য স্বতন্ত্র বাহিনী গঠন।
3. এমআরটি পুলিশ বিলুপ্ত করা।
4. স্টেশনে কর্মরতদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
5. অফিসিয়াল পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে পেইড জোনে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া।
6. আহত কর্মীর চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে গ্রহণ করা।

তদন্ত ও ব্যবস্থাগ্রহণ

এমআরটি পুলিশের ডিআইজি সিদ্দিকী তানজিলুর রহমান জানান, অভিযুক্ত এক ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছে এবং এক এসআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

এমডির আশ্বাসের পর কর্মীরা কাজে ফিরলে মেট্রোরেলের টিকেট বিক্রি পুনরায় শুরু হয়, যার ফলে যাত্রীদের ভোগান্তির অবসান ঘটে।