ফলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে কর হ্রাস

টুইট ডেস্ক: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানি করা ফলকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে এর বাজার স্থিতিশীল রাখতে উৎসে কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে দাম ধরে রাখতে কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙ্গুর এবং লেবু জাতীয় ফলের ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

গত ১৩ মার্চ এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ১৬ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, আমদানি করা ফল বিলাসী পণ্য বিবেচনায় এনে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন রমজানে ফলের দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক ও কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছিল।

ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, আমদানিকৃত তাজা ফল ভোক্তাদের কাছে যৌক্তিক মূল্যে পৌঁছানোর জন্য ট্রাক বা ভ্যানের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালের মে মাসে কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রায় ১৩৫টি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ০ থেকে ৩ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ করা হয়েছিল, যার মধ্যে আমদানি করা ফলও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বর্তমানে রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা ২৮০-৩১০ টাকা, কমলা ২৯০-৩০০ টাকা, চায়না (মোটা) কমলা ৩০০-৩২০ টাকা হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩৫০ টাকা কেজি দরে, নাশপতি ৩১০-৩৪০ টাকা এবং আঙ্গুরও তিন’শ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এই কর হ্রাসের ফলে ফলের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সাধারণ জনগণের জন্য তা আরও সহজলভ্য হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।