যুক্তরাষ্ট্রে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাত, নি(হত) ৩১

টুইট ডেস্ক: শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চল। এতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

বিধ্বংসী এই ঝড়ে মিসৌরিতে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যেখানে ১২ জনের নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে টেক্সাস, আরকানসাস ও জর্জিয়াতেও প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ টর্নেডোর তাণ্ডবে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক টর্নেডো ও ঝড় আঘাত হানছে। মিসৌরিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতভর তাণ্ডব চালায় একাধিক টর্নেডো, এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আরকানসাসে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

গভর্নর সারা হাকাবি স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, জরুরি উদ্ধারকর্মীরা মাঠে নেমেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

টেক্সাসেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অ্যামারিলো এলাকায় ধুলিঝড়ের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দুর্যোগের কেবল শুরু।

সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরও টর্নেডোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, আলাবামা ও জর্জিয়ায় আঘাত হানতে পারে। একইসঙ্গে, উত্তরাঞ্চলে তুষারঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বাতাসের গতিবেগ কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ১০০ মাইল ছাড়িয়ে যেতে পারে। ওকলাহোমায় এতটাই শক্তিশালী বাতাস বইছে যে, একাধিক ট্রাক উল্টে গেছে। প্রবল ঝড়ের পাশাপাশি, টেক্সাস, কানসাস, মিসৌরি ও নিউ মেক্সিকোতে দাবানলের ঝুঁকিও বেড়েছে।

এছাড়া ওকলাহোমায় ১৩০টির বেশি দাবানলের খবর পাওয়া গেছে, যা ২৬৬ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, কিছু এলাকাকে ইতোমধ্যে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

এদিকে, দুই লাখের বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জর্জিয়া ও আরকানসাসে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।