ইয়েমেনে হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হা(মলা)
টুইট ডেস্ক: ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে শক্তিশালী বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর হুতিদের আক্রমণের জবাব দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্মে বলেন, “ইরানের অর্থায়নে হুতি দুর্বৃত্তরা মার্কিন বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং আমাদের সেনা ও মিত্রদের নিশানা করেছে। তাদের জলদস্যুতা, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিশাল আর্থিক ক্ষতি করেছে এবং মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।”
হুতি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় হুতিরা লোহিত সাগরে জাহাজ লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়ে আসছে। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব দিতে তাদের বাহিনী প্রস্তুত।
সৌদি সীমান্তবর্তী বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি সানা ও সাদাহ প্রদেশে শনিবার সন্ধ্যায় একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। সানার বিমানবন্দর এলাকায় কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে, তবে এসব ছবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
হুতিরা এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সানার আবাসিক এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে আগ্রাসন চালিয়েছে। তবে যুক্তরাজ্য সরাসরি এই হামলায় অংশ নেয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও তারা যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়মিত জ্বালানি সহায়তা দিয়ে আসছে।
ট্রাম্প হুতিদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়ে বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা অপ্রতিরোধ্য শক্তি প্রয়োগ করব।” অন্যদিকে, হুতিরা বলেছে, এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা আরও শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতিরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে একাধিক হামলা চালিয়েছে, দুটি জাহাজ ডুবিয়েছে এবং আরও একটি জাহাজ জব্দ করেছে। পশ্চিমা যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পরও হুতিদের আক্রমণ থামেনি।
বিবিসি জানিয়েছে, লোহিত সাগরে হুতিদের আক্রমণের কারণে শীর্ষস্থানীয় শিপিং কোম্পানিগুলো এই পথ এড়িয়ে চলছে। বিকল্প হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দীর্ঘ পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যে প্রভাব ফেলছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, হুতিদের পৃষ্ঠপোষক ইরানকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ট্রাম্পও হুশিয়ারি দিয়েছেন, ইরান যদি হুতিদের সমর্থন চালিয়ে যায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তা মেনে নেবে না।