সয়াবিনের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে, ফলের দামেও স্বস্তি
টুইট ডেস্ক: রমজানের মাঝামাঝিতে এসে নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। সয়াবিন তেলের সংকট কিছুটা কমেছে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে, যদিও তা এখনও চাহিদার তুলনায় কম। পাশাপাশি, ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজসহ বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও কমতে শুরু করেছে, ফলের বাজারেও মিলছে স্বস্তি।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর নিউ মার্কেট, তুরাগ নতুনবাজার ও শান্তিনগর বাজার পরিদর্শনে দেখা গেছে, ক্রেতাদের চাপ কমায় পণ্যের দাম কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। ব্যবসায়ীদের মতে, রমজানের প্রথম সপ্তাহের কেনাকাটার চাপ কমায় এখন বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে।
দোকানিদের দাবি, ডিলাররা এখন নিয়মিত বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহ করছেন, তবে এখনও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। এক ব্যবসায়ী জানান, পাঁচ কার্টন অর্ডার করলেও মাত্র দুই কার্টন তেল সরবরাহ করা হচ্ছে।
টিসিবির তথ্যমতে, গত এক সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭-২০ টাকা কমে প্রতি লিটার ১৬০-১৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই লিটারের বোতলজাত তেলের দাম তিন টাকা কমে ৩৪৫-৩৫০ টাকা, এক লিটারের বোতল ১৭৫-১৭৮ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫-৮৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বাজারে তরমুজের দাম প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায় নেমেছে, যা রমজানের শুরুতে ৬০-৭০ টাকা ছিল। মাল্টার দাম ২৫০-২৭০ টাকা, আপেল ৩০০-৩৮০ টাকা, পেয়ারা ৭০-৮০ টাকা, বরই ৫০-৬০ টাকা, আঙুর ৩০০-৪০০ টাকা, কমলা ২৬০-২৮০ টাকা এবং নাশপাতি ২৮০-৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা রমজানের শুরুর তুলনায় ২০-৫০ টাকা কম।
আলুর দাম ২০-২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা কমে ১৯০-২০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগির দাম ২৮০-৩০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। ডিমের দামও কমে ডজনপ্রতি ১২০ টাকায় নেমেছে। তবে গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত থেকে প্রতি কেজি ৭৮০-৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১,০৫০-১,১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রমজানে শরবতের চাহিদা এবং সাম্প্রতিক জ্বরের প্রকোপের কারণে লেবুর দাম তেমন কমেনি। খুচরাবাজারে প্রতি হালি লেবু ৫০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতাদের মতে, উচ্চ চাহিদার কারণে লেবুর দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সময় লাগতে পারে।
সার্বিকভাবে, বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্যের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতের মূল্যপরিবর্তন নির্ধারিত হবে।