সং’ঘর্ষে রিকশাচালকের মৃ(ত্যু), বিএনপির ছয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে নিহত রিকশাচালক গোলাম হোসেনের ঘটনায় বিএনপির ছয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী পরিবানু বেগম বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) নগরীর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি করেন।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হোসেন জানান, মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার আসামিরা

নগরের শাহ মখদুম থানা বিএনপির আহ্বায়ক সুমন সরদার, চন্দ্রিমা থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফাইজুর হক ফাহি, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, মহানগর মহিলা দলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক লাভলীর স্বামী সোহেল রানা ও ভাই মো. নাঈম, এবং যুবদল কর্মী রনি।

সংঘর্ষের পটভূমি

গত ৬ মার্চ নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় এক আওয়ামী লীগ নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয় এবং তার ভাইকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর জেরে পরদিন বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

দড়িখড়বোনা ও আশপাশের এলাকায় প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, গুলির শব্দ এবং মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনা ঘটে।

রিকশাচালকের নির্মম মৃ(ত্যু)

সংঘর্ষের সময় মহাজনের রিকশা জমা দিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন গোলাম হোসেন। তখনই এক পক্ষ ভুলবশত তাকে প্রতিপক্ষের লোক ভেবে ছুরিকাঘাত করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।

গোলাম হোসেনের জীবনসংগ্রাম

ছয় বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে কুমিল্লার গোলাম হোসেন ঠাঁই নিয়েছিলেন রাজশাহীর এক এতিমখানায়। পরে এই শহরেই বিয়ে করে সংসার গড়েন। তিনি দড়িখড়বোনা এলাকায় রেললাইনের পাশে একটি টিনের ঘরে দুই হাজার টাকা ভাড়ায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।