ভুয়া নথি ব্যবহার করে বোনকে সম্পত্তি দিতে চেয়েছিলেন টিউলিপ সিদ্দিক!
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক ব্রিটিশ সিটি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে তার বোনের কাছে সম্পত্তি হস্তান্তরের অভিযোগ এনেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, তিনি একটি ভুয়া নোটারি নথি ব্যবহার করে ঢাকার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট তার বোন আজমিনা সিদ্দিকের নামে হস্তান্তর করেছেন।
দুদক দাবি করেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক তার রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে ঢাকার পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের সরকারি প্লট নিজের ও পরিবারের জন্য বরাদ্দ নিয়েছেন, যা রাষ্ট্রীয় সম্পদের অবৈধ ব্যবহার।
চার্জশিট অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিক ঢাকায় একটি সম্পত্তির মালিক হওয়ায় পূর্বাচল প্রকল্পের প্লট পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না। কিন্তু বিধিনিষেধ অমান্য করেই তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নির্ধারিত প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।
এ ছাড়া, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী সিরাজুল ইসলামের নামে থাকা নোটারি সিল ব্যবহার করে টিউলিপ তার বোনের নামে একটি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেন। তবে সিরাজুল ইসলাম এই নথিতে স্বাক্ষর করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন, স্বাক্ষরটি তার নয়।
দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেন, “এটি কেবল বরফখণ্ডের চূড়া। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আরও অনেক দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা তাকে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপে ফেলে দেয়। তবে তিনি বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
দুদকের তদন্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা সরকারি জমি বরাদ্দের নিয়ম ভেঙে নিজেদের জন্য জমি নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে পূর্বাচল প্রকল্পে প্রায় এক একর সরকারি জমি শেখ হাসিনা, তার সন্তান ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তথ্যসূত্র- ফিন্যান্সিয়াল টাইমস