“শহীদ মুগ্ধের বন্ধুর ওপর জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে হা(মলা)

টুইট ডেস্ক: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণিত ডিসিপ্লিনের ১৯ ব্যাচের ছাত্র জাকিরুল ইসলামকে ২১ ব্যাচের কিছু জুনিয়র শিক্ষার্থীর হাতে মারধর এবং প্রাণনাশের হুমকির শিকার হতে হয়েছে। উল্লেখ্য, জাকিরুল ইসলাম সেই ভিডিওর মাধ্যমে পরিচিত, যেখানে শহীদ মুগ্ধের জন্য “পানি লাগবে পানি” বলেছিলেন, যা মুগ্ধের হৃদয় আকর্ষণ করেছিল।

এ ঘটনায় জাকিরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালককে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ৮ মার্চ রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে খান বাহাদুর আহসানউল্লাহ হলের সামনে চা-জুসের দোকানের কাছে ২১ ব্যাচের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তার তর্ক-বিতর্ক হয়, যা পরবর্তীতে হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

এর পর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে ২১ ব্যাচের ১০-১১ জন শিক্ষার্থী বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন হলের উত্তর ব্লকের তৃতীয় তলায় এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, শারীরিক নির্যাতন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও গণিত ডিসিপ্লিনের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈকত বলেন, “আমি রুমে ছিলাম, বাইরে চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি কয়েকজন জাকিরকে টানাটানি করে মাঠে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। জাকির যেতে চাইছিল না, তখন একজন তাকে কিল-ঘুষি মারে এবং গালাগাল দেয়।”

রসায়ন ডিসিপ্লিনের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফ জানান, “আমি দেখলাম, কয়েকজন জুনিয়র শিক্ষার্থী জাকিরকে ধাক্কাচ্ছে। আমি তাদের থামিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করলাম, কিন্তু তারা জানায়, এটি তাদের ডিসিপ্লিনের বিষয়।”

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি, তবে তারা দাবি করেছেন, প্রাণনাশের হুমকির ঘটনা ঘটেনি এবং বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করবে।

এদিকে, বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন হলের প্রভোস্ট ড. মো. সফিকুল ইসলাম ঘটনার কিছু সত্যতা পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত জানান, “এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।”