ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়তে চাই কার্যকর পদক্ষেপ
সম্পাদকীয়: সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
রোববার (৯ মার্চ) সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অন্তত ১২টি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে লাঠিমিছিল ও মশালমিছিল উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বিভাগের ব্যানারে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
রাত ৮টায় ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ নামক একটি সংগঠন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মশাল মিছিল শুরু করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে তারা ধর্ষকদের প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধনের মাধ্যমে তাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ নামক ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সংগঠিত হচ্ছে। এছাড়া, মাগুরায় ৮ বছরের এক শিশুর ধর্ষণের ঘটনায় আদালত ঘেরাও করা হয়।
সরকারের প্রতি দাবি
প্রতিবাদকারীরা ধর্ষকদের দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত কাউকে জামিন না দেওয়ার এবং বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
সারাদেশে চলমান এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে সাধারণ জনগণ, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন একত্রিত হয়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তাদের একমাত্র দাবি—ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করা।