রমজানে ফলের বাজার চড়া, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা

টুইট ডেস্ক: রমজান মাস শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শরীয়তপুরে তরমুজ, আনারসসহ মৌসুমি ফলের চাহিদা বেড়েছে। তবে সেইসঙ্গে বেড়েছে দামও, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। আমদানি কম ও পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন আড়তদাররা।

রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে ক্লান্তি মেটানো ও শক্তি ফেরাতে প্রয়োজন হয় ফলের। তাই এসময় কদর বাড়ে কমলা, মাল্টা, তরমুজ, আঙুরের মতো রসালো ফলের। তবে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ফলের দাম। রোজাদারসহ অনেকের কাছেই এখন দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে রকমারি ফল।

শরীয়তপুরের পালং বাজারে প্রতি কেজি আপেল ও মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৩০ টাকায়। চীনা কমলা ৩২০, কালো আঙুর ৪৮০-৫০০, আনার আকার ভেদে ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা এলাকাভেদে গেল এক সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি। অন্যদিকে তরমুজ কেজিতে ৬০, পেয়ারা ১০০ থেকে দেড়শো আর পেঁপে ৮০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কলার হালি ৪০-৬০ টাকা পর্যন্ত।

আকার ভেদে প্রতি পিস আনারস কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৭০ টাকা। ক্রেতারা বলেছেন, সব ফলের দাম বেড়েছে। মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তের মানুষরা ফলের কাছে যেতে সাহস পাচ্ছে না।

রমজানের অষ্টম দিনে শরীয়তপুরের আংগারিয়া, পালং, মনোহর বাজারের ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে বিদেশি ফলের দাম বেড়েছে। আমদানি নির্ভর ফলে অতিরিক্ত শুল্কারোপ আর দেশি ফলের অতিরিক্ত চাহিদার কারণে বাড়তি দাম গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

বিক্রেতারা বলছেন, আমদানিতে খরচ বেশি হওয়ায় দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে রোজায় সবাই কমবেশি ফল কেনেন। ফলে চহিদার সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়ে যায়। দামের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে শরবতের অন্যতম উপকরণ লেবু। আকার ভেদে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়।

সরকারি কর্মচারী লতিফ বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় যে টাস্কফোর্স রয়েছে , তারা কিন্তু গ্রাম থেকে জেলা সদর পর্যায়ে কাজ করছে। এ টাস্কফোর্স পণ্যের দাম নিয়ে বাজারে মনিটরিং করতে পারেন। এতে করে যেখানে অযৌক্তিকভাবে দাম বেড়ে যাওয়া চোখে পড়বে সেখানে অভিযান চালাতে হবে। তাহলে আমরা সঠিক দামে পণ্য কিনতে পারব।

প্রতিবছর রোজার আগে আগে রসাল ফলের এমন দাম বাড়ায় ক্ষোভ ক্রেতাদের মনে। সবার আশা, সরকারি হস্তক্ষেপে কমে আসবে অযৌক্তিক দাম।