আচরণবিধি: রাজশাহী সদরের ২ প্রার্থীকে শোকজড

ফজলে হোসেন বাদশা ও মোহাম্মদ আলী কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : মিছিল-সমাবেশ করে জনগণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় রাজশাহী-২ (সদর) আসনের ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা ও একই আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালকে শোকজড করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির (নির্বাচনী এলাকা-৫৩, রাজশাহী-২) চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ বিকাশ কুমার বসাক। সোমবার চিঠি দিতে দুই প্রার্থীকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও গত রোববার (৩ ডিসেম্বর) তার নিজ দলের নেতাকর্মীরা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। ওই সমাবেশে বাদশার পক্ষে এবং তার নেতৃত্বে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানানো হয়। ওই সমাবেশের ফলে জনগণের চলাচলের চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর ৬ (ঘ) নং বিধি অনুযায়ী কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন কোন জনসভা কিংবা পথসভা সড়কে করতে পারবেনা।

এছাড়া, উক্ত বিধিমালার ১২নং বিধি মতে কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। উপরোক্ত মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর ৬ (ঘ) ও ১২ নং বিধি’ লঙ্ঘিত হয়েছে।

এ অবস্থায় বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ফজলে হোসেন বাদশার বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না মর্মে আগামী বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় স্ব-শরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, একই অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে রাজশাহী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী কামালকেও। তিনি রোববার নগরীর জিরোপয়েন্টে শান্তি সমাবেশ করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটান।

এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধেও কেন নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না মর্মে আগামী বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় স্ব-শরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।