সুনামগঞ্জে পুকুর দখল নিয়ে সংঘর্ষ: কুপিয়ে মা-ছেলেকে গুরুতর জখম

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে পারিবারিক এজমালী পুকুর দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন রীনা বেগম (৪৭) ও তার ছেলে তারেক আহমদ (২৫)। ভূমি নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের রক্তাক্ত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রীনা বেগমের চাচা জালাল উদ্দিন, চাচাতো ভাই আপ্তাব উদ্দিন জুনেদ, আজির উদ্দিন বাবুল, চাচী জানু বিবি, চাচাতো বোন মমতা বেগম ও রুমী বেগমসহ গ্রামের প্রতিবেশী আনোয়ার মিয়া মিলে এজমালী পুকুরের পানি শুকিয়ে মাছ ধরার জন্য মেশিন স্থাপন করছিলেন। এতে বাধা দেন রীনা বেগম ও তার ছেলে তারেক আহমদ। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা দা ও রামদা দিয়ে রীনা বেগম ও তার ছেলেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

চিৎকার শুনে স্থানীয়রা মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়, বিশেষ করে মাথা, পা ও আঙুলে কেটে যায়। চিকিৎসকরা রীনা বেগমের মাথায় একাধিক সেলাই দিয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হলেও আর্থিক সংকটে তারা সুনামগঞ্জেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জানা গেছে, মৃত আলাউদ্দিনের একমাত্র মেয়ে রীনা বেগম তার স্বামী ও সন্তানসহ দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে পিতার বসতভিটায় বসবাস করছেন। পাশাপাশি তিনি এজমালী পুকুরের পিতার অংশ ভোগদখল করছিলেন এবং চাচার অংশের কিছু অংশ কিনেও নেন। তবে প্রতিপক্ষরা তাদের উচ্ছেদ করতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিল। তারই জেরে পুকুর শুকিয়ে মাছ ধরার পরিকল্পনা করা হয়, যা রীনা বেগম ও তার ছেলে প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।

এ ঘটনায় শনিবার (৮ মার্চ) দুপুরে আহত রীনা বেগমের স্বামী সেলিম মিয়া বাদী হয়ে প্রধান আসামি আপ্তাব উদ্দিন জুনেদসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”