বায়তুল মোকাররমে সংঘর্ষ, আলোচনার কেন্দ্রে আরমান

টুইট ডেস্ক: শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় এক ব্যক্তিকে সংগঠনটির একজন সদস্যকে মারধর করতে দেখা যায়।

পরে যৌথবাহিনীর সদস্যরা ওই ব্যক্তিকে আটক করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে এবং ওই ব্যক্তির মুক্তির দাবি ওঠে।

আটককৃত ব্যক্তির নাম আরমান আলী (৩০)। তিনি রিকশাচালক নন; বায়তুল মোকাররমের সামনের দোকানগুলোতে পানি সরবরাহের কাজ করেন। পুলিশকে সহায়তা করতে গেলে হিজবুত তাহরীরের সদস্যরা তার ওপর হামলা করে আহত করে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে সোপর্দ করে।

এ খবর পেয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ডিবি কার্যালয় থেকে আরমানকে ছাড়িয়ে এনে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লেখেন, ‘মামার নাম আরমান, উনি রিকশাওয়ালা না। বায়তুল মোকাররমের সামনের দোকানগুলোতে পানি সাপ্লাইয়ের কাজ করেন। পুলিশকে সহায়তা করতে গেলে তার উপরেও হামলা করে আহত করা হয়। পরবর্তীতে আর্মির সদস্যরা তাকে আটক করে ডিবিতে সোপর্দ করে। তাকে ছাড়িয়ে এখন ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।’

এই ঘটনায় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আরও উল্লেখ করেন, ‘৫ আগস্টের পর এই জনতাই সব সংকট থেকে দেশকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে। বিপ্লবোত্তর একটা ভঙ্গুর আর অসহযোগিতা পূর্ণ প্রশাসন নিয়ে জনতার সাহায্য ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব ছিল। গতকাল যারা সরকারকে মিস ইনফরমেশন দিয়েছেন নোট করে রাখা হয়েছে।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও লেখেন, ‘আর যারা মুখোশ পরে নানারকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারাও সাবধান হয়ে যান। জনতাকে এখন আর ঘোল খাওয়ানো যায় না, তারা সব বোঝে।’

উল্লেখ্য, হিজবুত তাহরীর একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। আইন অনুযায়ী এদের সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে জানিয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।

এই ঘটনায় আরমান আলী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এই উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসিত হয়েছে।