দমন-পীড়নে অংশ নিলে শান্তিরক্ষা মিশন হারাতে পারে বাংলাদেশ – সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ!
টুইট ডেস্ক: গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামে পরিচিত। এই আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার সরকার দমন-পীড়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের জন্ম দেয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেন যে, যদি তারা এই দমন-পীড়নে অংশগ্রহণ করে, তবে তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
এই সতর্কবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন এবং নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই সরকার জাতিসংঘকে অনুরোধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তদন্ত করতে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, এই দমন-পীড়নের সময় প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ১২-১৩% ছিল শিশু। প্রায় ১১,৭০০ জনকে আটক করা হয় এবং হাজারো মানুষ আহত হন। এই ঘটনাগুলোকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হতে পারে বলে জাতিসংঘ মন্তব্য করে।
পরবর্তীতে, হাজারো মানুষ ঢাকায় সমবেত হয়ে ‘ঐক্যের মিছিল’ আয়োজন করে, যেখানে শেখ হাসিনার বিচার এবং আওয়ামী লীগ পার্টি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। এই মিছিলের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের দাবি এবং জুলাই বিপ্লবের ঘটনাগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘের এই সতর্কবার্তা এবং পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবর্তন বাংলাদেশের ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২৬ সালের প্রথমদিকে নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।